নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের তোড় পাটনা বৈঠকের পর রাতারাতি বদলে গেছে তৃণমূল-সিপিএম সেটিংয়ে। পাটনার পর সেই অভিযোগে ঘৃতাহুতি দিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু ডিনার পার্টি। সোশ্যাল ট্রেন্ডিংয়ে এখন শুধুই সিপে-মূল(CPM+TMC বোঝাপড়া) ট্রোলিং পোস্ট। ইতিমধ্যে এই সেটিং কাঁটা নিয়ে অস্বস্তিতে কংগ্রেসও। বিরোধী জোটের ঘোষণার পর থেকেই চুপচাপ রাজ্য কংগ্রেসের একমাত্র অক্সিজেন অধীর চৌধুরী। প্রাণপণে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে হাইকমান্ডকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, রাজ্য নেতারা কখনই মানবেন না তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া। অন্যদিকে এই সেটিং এখন গলার কাঁটা হয়ে গিয়েছে আলিমুদ্দিনের!
কদিন আগে পর্যন্ত জোরালো কণ্ঠে বিজেপি-তৃণমূলের আঁতাত দাবি করে আসা বঙ্গ-সিপিএম-এর বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিএম-এর নিচু তলা থেকেই ইতিমধ্যে উঠেছে প্রশ্ন , পঞ্চায়েত ভোটে এত ব্যাপক সন্ত্রাস, পার্টি-কর্মীরা অত্যাচারিত হওয়ার পরও কীভাবে ব্যাঙ্গালুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নৈশ ভোজে যোগ দিলেন ইয়েচুরি? কটাক্ষ করে বিজপিও বলছে, কেন্দ্রে দোস্তি করে রাজ্যে কীভাবে তৃণমূলের বিরোধিতা করবে সিপিএম? আরও গুরুত্বপূর্ণ, গতকাল শহিদ দিবসের ভাষণেও সিপিএম-এর প্রসঙ্গ ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো এড়িয়ে গেছেন মমতা।
এই নিয়ে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন খোদ সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর সাফাই,’তৃণমূলকে হারাতে হবে বাংলায়। সেখানেই তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে, সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে, সেখানেই তাদের পরাস্ত করতে হবে। আর বিজেপিকে হারাতে হবে দেশে।’ অর্থাৎ, কেন্দ্রে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হলেও রাজ্যে যে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তাঁদের লড়াই, সেটাই বোঝাতে চাইলেন ইয়েচুরি। তবে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলকেই কীভাবে হারানোর ছক কষছে সিপিএম নেতৃত্ব? যদিও মিলছে না এর সদুত্তর।