নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে এই বছর পূর্ব ভারতে ৪৯ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। যতটুকু বৃষ্টি হয়েছে তাতে গরমের জ্বালা হালকা কমলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বর্ষার সঙ্গে আসা রোগের প্রকোপ। সর্দি, জ্বর, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে বাড়ছে জল বাহিত রোগ। তবে একটু সাবধানে থাকলেই বৃষ্টির মরশুমে একদম ফিট থাকতে পারবেন আপনি। জেনে নিন কী করবেন আর কী করবেন না।
প্রথমে চেষ্টা করুন বৃষ্টিতে না ভেজার। গরমের তাপদাহে জেরবার হওয়ার পরে মরশুমের প্রথম বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! তবে বৃষ্টির জলের সঙ্গে আসে শরীর খারাপ হওয়ার হাতছানি। তাই ব্যাগে ছাতা বা রেনকোট রাখুন সব সময় এবং বৃষ্টিতে ভেজার হাত থেকে দূরে থাকুন।
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে চেষ্টা করুন স্নান করে নিতে। স্নান না করতে পারলেও ভিজে জামা কাপড় ছেড়ে শুকনো জামা কাপড় পড়ুন। ভিজে জামা পরে দীর্ঘক্ষন ফ্যানের হাওয়ায় বা এসিতে থাকবেন না।
বৃষ্টিতে ভেজার পরে গরম তরল পানীয় পান করুন। চা, কফি, হেলথ ড্রিংক, হট চকলেট, দুধ কিংবা গরম স্যুপ খান। বৃষ্টিতে ভেজার পর দেহ তুলনামূলক ঠান্ডা হয়ে যায়। এই গরম পানীয় দেহে উষ্ণতা তৈরি করে।
যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত একটু বৃষ্টিতে ভিজলেই তাদের ঘন ঘন জ্বর আসার প্রবণতা থাকে। প্রতিদিন হালকা এক্সারসাইজ করলে ঠান্ডা লাগার পরে গা ম্যাচ ম্যাচে ভাব বা জ্বর অনেকটাই কমে যায় এবং দেহের ভেতর থেকে সুস্থতা অনুভব হয়।
বর্ষাকালে দেহে ভিটামিন সি কমে যায়। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান এই সময়। লেবু বা টক জাতীয় ফলেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই সময় আনারসও খেতে পারেন।
ফ্লুয়ের হাত থেকে বাঁচতে বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এর সঙ্গে ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
সর্বোপরি বর্ষাকালে জল বাহিত রোগের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন এবং খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।