নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টিহীনদের জন্য খোলা হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালার দরজা। বিষ্ণু মূর্তি থেকে দেবী চৌধুরানীর ব্যবহার করা বিশালাকায় নৌকোর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে জানাতে পারবে দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারাও। দৃষ্টিহীনদের জন্য খোলা হলো উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালার দরজা। বিষ্ণু মূর্তি থেকে দেবী চৌধুরানী ব্যবহার করা বিশালাকায় নৌকোর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে এবার থেকে জানাতে পারবে দৃষ্টিশক্তিহীন পড়ুয়ারাও। ভারতের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের আদলে এবারে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় সংগ্রহশালায় নজিরবিহীনভাবে চালু হল ব্রেইল পদ্ধতি। ইতিহাসের জীবন্ত সব নিদর্শন এবারে অনুভব করতে পারবেন দৃষ্টিহীনেরাও।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম তথা সংগ্রহশালার ডিরেক্টর অধ্যাপিকা ডালিয়া ভট্টাচার্য জানান আগে এই সংগ্রহশালায় শুধুমাত্র চোখে দেখেই পড়ুয়ারা ঐতিহাসিক নিদর্শন সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে পারত। তবে এবার থেকে প্রতিটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এর ইতিহাস ও তার বিষয়ে যাবতীয় ঐতিহাসিক তথ্য ব্রেইলে লেখা থাকছে। সাধারণ লেখার পাশাপাশি ব্রেইল মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য থাকবে ব্রেইলে খচিত। যাতে দৃষ্টিশক্তিহীনেরা তা বিশদে জানতে পারবে।
আরও পড়ুন: Assembly Opening: খুলছে বিধানসভা, বিল পেশ ঘিরে উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগ্রহশালায় প্রায় ৬৫টির বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক মূর্তি রয়েছে। ডিরেক্টর জানান মূর্তিগুলি ছুঁয়ে দেখার অনুমতি নেই। তবে মূর্তিগুলির নিখুঁত বিবরণ ব্রেইলের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। তার ইতিহাস ও বিশেষত্ব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ব্রেইলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক নির্দশন হওয়ায় এই মূর্তিগুলি স্পর্শ করার অনুমতি নেই কারোরই। ব্রেইলের লেখা ছুঁয়ে অদেখা সবটাই জানা যাবে। এই কাজে “প্রেরণা” সংগঠন সহায়তা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়কে।
প্রথম দিনে বাগডোগরা কলেজ সহ বেশ কিছু দৃষ্টিশক্তিহীন সংগঠনের ছাতায় থাকা পড়ুয়ারা সংগ্রহশালার সব নিদর্শনের ইতিহাস ছুঁয়ে অনুধাবন করে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগ্রহশালার নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। ১৯৬৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ইতিহাস বিষয়ের ক্লাসের পাশে কাঠের নড়বড়ে একটি কক্ষ নিয়ে জন্ম হয়। সেখানে যাতায়াত ছিল ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপিকা ও পড়ুয়াদের। তবে ২০০৬ সালে তা নতুন ভবন গড়ে তোলা হ