নিউজ ডেস্ক: নিছক প্রেমের টানে সীমা পার নাকি ভারতে আসার পিছনে রয়েছে গভীর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র? সীমা হায়দারের ভারতে প্রবেশের নেপথ্যে কোন যুক্তি অধিক জোরালো, সেই প্রশ্নের উত্তর তন্নতন্ন করে খুঁজে চলেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। প্রতিদিন উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। প্রথমে জেল হেফাজতে রাখা হলেও আপাতত জামিনে রয়েছেন এই পাক-মহিলা। কিন্তু এখনও পর্দা ওঠেনি রহস্যের। সীমার প্রথম থেকেই দাবি, উত্তরপ্রদেশ-নিবাসী সচিন মীনার প্রেমের টানেই ভারতে এসেছেন তিনি, আর ভারতীয় হয়েই থাকতে চান সারা জীবন। এমনকি সীমা এই দাবিও করছেন, তিনি স্বামীর ধর্মকেও আপন করে হিন্দু হয়ে গেছেন, পুজোও করছেন।
এই আবহে আরও একবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সীমা আবেদন জানিয়েছেন তাকে পাকিস্তানে না পাঠানোর জন্য। সীমার বক্তব্য, পাকিস্তান থেকে নিজের সন্তানদের নিয়ে এভাবে পালিয়ে না আসলে তাঁকে মেরে ফেলা হতো। এমনকি এখনও ফেরত পাঠানো হলে পাকিস্তানে তার বাঁচার আশা থাকবে না বলে দাবি করেন সীমা। তাই সারাজীবন সচিনের সঙ্গে ভারতেই তাকে জেল-বন্দী রাখা হলেও সেই নির্দেশও মেনে নেবেন তিনি।
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সীমাকে নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার হয়েছে সীমাকে নিয়ে। যেমন- একাধিক ভাষায় দখল রয়েছে এই পাক-মহিলার। এমনকি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কাজ করে তাঁর ভাই এবং কাকা। সব মিলিয়ে সীমাকে এখনই ক্লিনচিট দিতে নারাজ ভারতীয় গোয়েন্দা। উল্লেখ্য, অনলাইন পাবজি খেলতে খেলতে সচিনের সঙ্গে প্রেম হয় সীমার। সচিনের সঙ্গে বিয়েও হয় তার। এরপর অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের আরোপে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে।