নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এবার গুজরাটে। গত চারদিন ধরে একটানা বৃষ্টির কারণে দ্বারকার ঘি ড্যাম এবং সিনহানে ক্রমশ বাড়ছে জলের মাত্রা। ইতিমধ্যেই সৌরাষ্ট্রের এবং কুছের নিচু এলাকাগুলি ভেসে গিয়েছে বন্যায়। জলমগ্ন রাজকোটও। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ২৪ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলায় লাল, কমলা এবং হলুদ সতর্কতা জারি করেছে ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট(আইএমডি)।
আইএমডি’র তথ্য অনুযায়ী, রবিবার থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হবে গুজরাট। বাড়বে জলের মাত্রা। ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়বে গোটা রাজ্য। সুতরাং খাবার জলের সঙ্কটও দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন আইএমডি’র বিজ্ঞানি ডাক্তার নরেশ কুমার। ইতিমধ্যেই জাতীয় দুর্যোগ বাহিনী(এনডিআরএফ) মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর। এমনকি পরিস্থিতির সম্পর্কে জানার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র পাটেলের সঙ্গে কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার জলমগ্ন মোকা গ্রাম থেকে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সহ ৩ জনকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ বলে খবর।
এদিকে, দিল্লিতে বিপদ সীমার উর্ধ্বে বইছে যমুনার জল। একটানা বৃষ্টির কারণে জলের মাত্রা বেড়েছে ২০৬.৪ মিটার। বন্ধ করা হয়েছে শহরের দক্ষিণ শাখার পুরানো যমুনা ব্রিজের উপর রেল চলাচল। ফলে দিল্লি থেকে শহদরা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির কারণে শহরের নীচু এলাকাগুলি থেকে লোক সরিয়ে নেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
যমুনা নদীর পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে জলস্তর বেড়েছে হিন্দন নদীতেও। ফলে নতুন করে বন্যার কবলে নয়ডার একাধিক এলাকা। জলের তলায় চলে গিয়েছে নীচু এলাকার একাধিক বাড়ি। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি জল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ওয়াজিরাবাদ জল শোধনাগারে যাতে বন্যার জল প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।