নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনে রীতিমতো উত্তাল সংসদ চত্বর। একদিকে মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী জোটের ‘ইন্ডিয়া’। অন্যদিকে বিরোধী শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি সাংসদদের একাংশ। যদিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোমবার বিক্ষোভ দেখানো হবে, তা আগেই জানিয়েছিল বিরোধী শিবির। দু’পক্ষের বিক্ষোভের উত্তাপের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। অগত্যা রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় দুপুর ২টো পর্যন্ত।
মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্যে সোমবার দুই কক্ষেই নোটিশ দেন বিরোধীরা। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে আলোচনার জন্যে নোটিশ দেন বিজেপি সাংসদরা। উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান জগদীপ ধানখড় জানান, রাজ্যসভার বিধি অনুসারে ১৭৬ অনুচ্ছেদে আলোচনার জন্যে ১১টি নোটিশ এবং ২৬৭ অনুচ্ছেদে ২৭টি নোটিশ জমা পড়েছে তাঁর কাছে। উল্লেখ্য, এই অনুচ্ছেদ অনুসারে জরুরি এবং আপদকালীন বিষয়ে আলোচনার জন্যে রাজ্যসভার কোনও সদস্য চেয়ারম্যানকে নোটিশ দিতে পারে। এবং সেই নোটিশ গৃহীত হলে বাকি সমস্ত কাজ স্থগিত রেখে নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তবে এদিন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বাদানুবাদের পর অধিবেশন মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, “২৬৭ অনুচ্ছেদে উচ্চকক্ষে আমরা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি সাংসদের একাংশ চান আলোচনা হোক আধ ঘন্টার। অথচ এই অনুচ্ছেদের আওতায় আলোচনা এক ঘন্টা ধরে চলতে পারে। এমনকি ভোটাভুটি হতে পারে। আমরা সেটাই চেয়েছিলাম”।
অন্যদিকে, লোকসভা চললেও তার বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়রা। অধীর বলেন, “অধিবেশন চলাকালীন সংসদের বাইরে এসে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী। যা কোনও মতেই কাম্য নয়। মণিপুর নিয়ে উনি সংসদের ভেতরে আলোচনা করুক।” আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেকের দাবি, “মণিপুরের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ কেন?” এদিকে, বিজেপি সাংসদদের দাবি, তাঁরা সব বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলেও কার্যত ‘পালিয়ে’ যাচ্ছেন বিরোধীরা। সবমিলিয়ে কার্যত উত্তাল সংসদ।