নিউজ ডেস্ক: পেটের তাগিদে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের গভীরে খালে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী। আর সেটাই কাল হল তাঁর জীবনে। স্ত্রীর সামনেই গভীর জঙ্গলে ওই মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল দক্ষিণরায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। পরিবারে শোকের ছায়া।
স্ত্রী ভগবতী ফকিরকে সঙ্গে নিয়ে নামখানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গণেশনগরের অধিকারী পাড়ার বাসিন্দা মৎস্যজীবী ৫৬ বছরের অনেশ্বর ফকির দিয়েছিলেন সুন্দরবনের ঠাকুরাণ নদীর ধারে কুস্তরি খালে কাঁকড়া ধরতে। পরিবারের সঙ্গে দম্পতির ফোনে রবিবার সকালেও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পুত্রবধূ সীতা বিশ্বাস ফকির। তিনি জানান, রবিবার বিকেলে শাশুড়ি ভগবতীদেবী ছেলেকে ফোন করে শ্বশুরমশাইকে বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়ার খবরটি জানান।
আরও পড়ুন: Drowned in Bengal:অজয় নদে তলিয়ে গেল কাজু
পরিবার জানতে পারে খালে কাঁকড়া ধরার সময় ভগবতীদেবীর সামনে থেকেই তাঁর স্বামীকে মুখে নিয়ে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে বিশালাকার একটি বাঘ। আর এই খবর পৌঁছানো মাত্রই ফকির পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। বনদপ্তর ও কাকদ্বীপ থানায় রাতেই ঘটনার খবর জানানো হয়। আশঙ্কা, বাঘের আক্রমণের শিকার ওই নিখোঁজ মৎস্যজীবীর বেঁচে থাকার আর কোনও আশাই নেই। তাঁর দেহ উদ্ধারে পুলিশ ও বনকর্মীরা রওনা দেন ওই জঙ্গলের উদ্দেশ্যে। মৎস্যজীবীর খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনিতল্লাশি। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর।