নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক দিনের কাজের সময় কম-বেশি চোট সকলেই পায়। কেটে-ছড়ে যাওয়া, পড়ে গিয়ে আঘাত লাগা বা রক্তপাত কোনোটাই বাদ যায় না। তবে যেকোনো চোটের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক চিকিৎসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামান্য ক্ষত মনে চিকিৎসা না করলে তা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। ধুলো ময়লা তো অবশ্যই তার সঙ্গে জীবানুর সংক্রমণ হতে পারে। তবে জানেন কি হাতের কাছে মজুদ ঘরোয়া উপাদানে ছোটখাটো ক্ষতের চিকিৎসা সম্ভব। জেনে নিন সেই সব আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলি।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। ফলে যেকোনো কাটা-ছেঁড়ায় হলুদের প্রলেপ লাগালে ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি ও ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। এছাড়াও গরম তেল ছিটকে পড়লে সেই জায়গা জলে ধুয়ে হলুদ লাগিয়ে দিলে আর ফোস্কা পড়ে না।
নুন
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে যতই জ্বালাদায়ক হোক না কেন নুন কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচায়। তাই রান্নার আগে তরিতরকারি, মাছ-মাংস সবেতেই নুন হলুদ মাখিয়ে রাখার চল রয়েছে এতে খাবার সহজে পচে যায় না। আর তাই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাতের কাছে কিছুই না থাকলে নুন দেওয়া যেতে পারে।
নারকেল তেল
ব়্যাশের কারণে জ্বালা করলে বা চুলকানির অব্যর্থ দাওয়াই হিসেবে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। নারকেল তেলে থাকা উপাদান প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
নিম
ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে নিমের ব্যবহার বহুদিন ধরেই হয়ে আসছে। ব়্যাশ, চুলকানি ও অ্যালার্জিতেই মূলত নিমের ব্যবহার হয়ে থাকলেও চুলের পুষ্টিতেও নিম গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।