নিউজ ডেস্ক: বাঙালি সিনেমার স্বাদ বোঝার পরেই অভিনয়ের স্বাদ বুঝিয়েছিলেন এক অভিনেতা। তিনি আর কেউ নন ম্যাটিনি শো-য়ের একছত্র অধিপতি উত্তমকুমার। ষাট-সত্তরের দশকে উত্তম কুমার নামটাই ছিল হিট সিনেমার জন্য যথেষ্ট। সিলভার স্ক্রিনে তাঁকে দেখার জন্য উপচে পড়ত ভিড়। শুধু পর্দাতেই নয়, বাস্তবেও তাঁর মতো রোম্যান্টিক প্রেমিক চাইতেন তরুনীরা। তাঁর আকাশছোঁয়া স্টারডম থাকলেও দর্শকদের কাছে তিনি ছিলেন পাশের বাড়ির ছেলে। আর তাই তো মৃত্যুর ৪৩ বছর পরেও বাঙালির মনের মণিকোঠায় রাজ করে চলেছেন তিনি।
তাঁর ছবিতে এখন মেতে থাকে তরুণ প্রজন্ম। তাঁর কাজ ও তাঁকে নিয়ে এখনও গবেষণা হয়। আর সেই গবেষণার সূত্র ধরেই আরো একবার ফের বড়পর্দায় ফিরছেন বাঙালির একমাত্র মহানায়ক! সোমবার প্রকাশ পেল সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত অতি উত্তম ছবির প্রিভিউ। মহানায়কের প্রয়াণের ৪৩ বছর পরে তাঁকে নিয়ে ছবি আসছে। ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি স্বয়ং।
ছবির কাহিনির তিন মুখ্য চরিত্র কৃষ্ণেন্দু, সোহিনী ও উত্তম কুমারের নাতি। উত্তম কুমারকে নিয়ে গবেষণা করেন কৃষ্ণেন্দু। গবেষণা করার জন্যই দুই বন্ধু মিলে প্ল্যানচেট করে ডেকে আনেন বাংলা সিনেমার এই কিংবদন্তীকে। এদিকে কৃষ্ণেন্দু-সোহিনীর প্রেমেও বিস্তর কলহ। মরণের ওপার থেকে এসে বাঙালি মেয়েদের স্বপ্নের পুরুষ তাঁদের প্রেমঘটিত সমস্যার সমাধানও বাতলে দেন।
উত্তম কুমার অভিনীত ছবিগুলি থেকে ক্লিপ কেটে-জুড়েই এই গোটা ছবিটা তৈরি। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এই ধরণের ছবি এই প্রথম! পরিচালক সৃজিত মুখার্জী জানান, ২০১৮ সাল থেকে এই ছবির কাজ শুরু করেন তিনি। ঘুরে ঘুরে ছবির ক্লিপগুলির স্বত্ত্ব জোগাড় করতে হয়েছে তাঁকে। প্রিভিউতে উত্তম কুমার অভিনীত কালজয়ী সিনেমাগুলির সংলাপ কেটে নেওয়া হয়েছে। মোট ৫৪ বার ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, রোশনি ভট্টাচার্য, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, লাবণী সরকার ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। সংগীতের দায়িত্বে রয়েছেন সপ্তক সানাই দাস। এক্স=প্রেম ছবিতে ডেবিউ করেন তিনি। ডেবিউতেই সপ্তকের সুর তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। চলতি মাসের ডিসেম্বরে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।