নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোর ৩টের সময় পরলোক গমন করেন বিধায়ক। ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে রবিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছিলেন বিষ্ণুপদ। অস্ত্রোপচারের পর সোমবার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। তবে আজ ভোররাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। না ফেরার দেশে গমন করেন বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়।
৬১ বছর বয়স ছিল বিধায়কের। ধুপগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। রবিবার ধুপগুড়ি থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। এমএলএ হোস্টেলে ওঠেন। সোমবার থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হয়। সেদিনই দলীয় কর্মসূচী ও বিধানসভায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি যেতে পারেননি। সুত্রের খবর দুপুর ০১:০০ তা নাগাদ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেই সময় সেখানে ছিলেন মনোজ টিগ্গা সহ অন্যান্য বিধায়করা। সকলে মিলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যান পিজি হাসপাতালে। জানা যায় তার ফুসফুসে সমস্যা ছিল। রাতে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। বিধায়ক পুত্র জানান তার পিতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে এই খবর আসে।
আরও পড়ুন: অভিষেক-পত্নীর বিদেশ যাত্রা আটকানোর কারণ জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বঙ্গ বিজেপি ও রাজনৈতিক মহলে। সকাল ১০:৩০ নাগাদ বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে তার দেহ নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরা তাকে শ্রদ্ধা জানান। এর পর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। সেখানে শ্রদ্ধা জানান বিধায়করা। ধুপগুড়ির বিধায়কের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মহিলা মোর্চার নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বিধায়ক সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “ সহকর্মী বিধায়কের প্রয়াণে দলের অনেক বড় ক্ষতি হল। একজন রাজনৈতিক সহকর্মী এবং একটা ভাল মানুষকে আমরা হারালাম”।