নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের পর এবার গণবিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ মেঘালয়। উন্মত্ত জনতার রোষের মুখে মুখ্যমন্ত্রী কনরাদ কে সাংমা। বাধ্য হয়ে নিজের অফিসেই বেশ কয়েকঘন্টা আটকে থাকলেন তিনি। ঘটনায় গুরুতর আহত ৭ জন পুলিশকার্মী।
বেশকিছু দিন ধরে গারো হিলসের তুরা অঞ্চলকে ‘শীতকালীন রাজধানী’ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছিল বেশ কয়েকটি সংগঠন। তাদের মধ্যে অন্যতম অচিক কনসিয়াস হলিস্টিকালি ইন্টিগ্রেটেড ক্রিমা(ACHIK)এর সদস্যদের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী সাংমা। টুরার সচিবালয়ে সোমবারের বিকেলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মারকুইস মারাক এবং শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারিক।
বৈঠক চলাকালীন সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ সচিবালয় ঘেরাও করে প্রায় ১০০০ জন বিক্ষোভকারী। ইঁট ছুঁড়তে শুরু করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তারা।
এদিকে, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের বিশাল বাহিনী। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন তারা। তাতেও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে লাঠিচার্জও করেন তারা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কি কারণে এই হামলা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “টুরার সচিবালয়ের বাইরে এই ঘটনা যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক। তদন্ত চলছে। আইনতভাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” সেইসঙ্গে আহতদের চিকিৎসার জন্যে ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্যের ঘোষণাও করেন তিনি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী সাংমা।