নিউজ ডেস্ক: জমানা শেষ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের। থাকতে পারবেন না তাঁর ছেলে করণ প্রতাপও। সংস্থার নির্বাচনের জন্য যে ইলেক্টোরাল কলেজ তৈরি হয়েছে, তাতে নাম নেই ব্রিজভূষণ এবং তাঁর ছেলের।
সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগট-সহ দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিরদের একাংশ যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে এফআইআর করেছেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ তদন্তের পর আদালতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ১৫৯৯ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে তার আগেই সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থায় শেষ হয়ে চলেছে ব্রিজভূষণ জমানা। উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ। সংস্থার সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন তাঁর ছেলে প্রতাপ। সংস্থার পরিচালন পর্ষদের অন্যতম সদস্য ব্রিজভূষণের জামাই বিশাল সিংহ। ব্যবস্থা এমন করেছেন, গোটা পরিবারকে কুস্তির সঙ্গে জুড়ে রেখেছেন।শুধু কুস্তি নয়, ভারতের খেলাধুলোর ক্ষেত্রে চিরাচরিত এই প্রথাই পছন্দ করেন রাজনৈতিক নেতা কাম কমর্কতারা।
আরও পড়ুন: ACC Mens’s Emerging Asia Cup 2023: পাকিস্তানের জয়ে উল্লাস বাংলাদেশের
গত এপ্রিল মাসে সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার পরিচালন পর্ষদ ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। আগামী ১২ আগস্ট হবে সংস্থার নির্বাচন। নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি হবে নতুন পরিচালন পর্ষদ। তাতে থাকবেন না ব্রিজভূষণ এবং তাঁর ছেলে। সাক্ষী, বজরংদের অন্যতম দাবি ছিল, ব্রিজভূষণের পরিবারের কোনও সদস্যকে রাখা যাবে না সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার নতুন পরিচালন পর্ষদে। যদিও ইলেক্টোরাল কলেজে নাম রয়েছে ব্রিজভূষণের জামাইয়ের। বিশাল নির্বাচিত হলে আবার আসতে পারবেন পরিচালন পর্ষদে। তবে তাঁর আর এক জামাই তথা সংস্থার প্রাক্তন যুগ্ম সচিব আদিত্য প্রতাপ সিংহের নাম নেই মঙ্গলবার চূড়ান্ত হওয়া ইলেক্টোরাল কলেজে।