নিউজ ডেস্ক: কথিত আছে, সঙ্ঘের হাত থাকে যেসব নেতার মাথায়, বিজেপির অন্দরে তার তত প্রভাব। বিজেপি নেতাদের অধিকাংশই ব্যস্ত নিজেকে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ প্রমাণ করার প্রতিযোগিতায়। পশ্চিমবঙ্গ-বিজেপির রাজনীতির মঞ্চও এর অন্যথা নয়। সঙ্ঘের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেও দেখা যায় বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের রীতিমত গণবেশ পরিহিত অবস্থায়। এমনকি সেই সূত্র ধরে কোনও নেতা সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকলে তাঁর নামের আগে ‘সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ’ তকমাও জুড়ে দেওয়া হয় সংবাদ-জগতে। বঙ্গ-রাজনীতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামের পাশেও কি এবার বসতে চলেছে এই তকমা?
সূত্রের খবর, গত সোমবার দিল্লিতে আরএসএস-এর একটি শীর্ষ স্তরের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাৎপর্য এটাই, যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর তিনি আমন্ত্রণ পেলেন সঙ্ঘ পরিবারের কোনও অফিসিয়াল বৈঠকে। এর আগে কলকাতায় সঙ্ঘের দফতর ‘কেশব ভবন’-এ বার দুয়েক এবং সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের একটি অনুষ্ঠানে গণবেশে দেখা গেলেও সঙ্ঘের কোনও সর্বভারতীয় বৈঠকে দেখা যায় নি তাঁকে। কিন্তু অবশেষে সেই সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠতার মুকুট যুক্ত হলো তাঁর মাথায়।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শাসক তৃণমূলকে বারেবারে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বিজেপির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন শুভেন্দু। ২১ এর ভোটে হিন্দুত্ববাদী মেজাজেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে, যার ফলে তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, সঙ্ঘের পছন্দের তালিকায় নাম লেখানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এমনকি একাধিকবার শুভেন্দু দাবিও করেন, ছোটোবেলায় তিনি সঙ্ঘের শাখাতেও যেতেন নিয়মিত। আর সবচেয়ে বড় কথা, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আগত এই প্রথম কোনও নেতাকে সরাসরি আমন্ত্রণ জানানো হলো সঙ্ঘের বৈঠকে। যদিও সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে এটি একটি রুটিন বৈঠক মাত্র। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সঙ্ঘের সুনজরে আসার পর আগামীদিনে বঙ্গ-রাজনীতিতে আরও ঝোড়ো ব্যাটিং করতে দেখা দেখা যেতে পারে বিরোধী দলনেতাকে।