নিউজ ডেস্ক: দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিস। প্রায় সব বয়সী মানুষরাই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্ষায় নানা রকম রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিলেও এই বছর কনজাংটিভাইটিসের রোগী বেশি। আশেপাশে প্রায় সবার মধ্যেই কনজাংটিভাইটিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে এই রোগ। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয় দিল্লিতেও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এই রোগ। একই সঙ্গে গুজরাট ও অরুণাচল প্রদেশেও লাল চোখ দেখাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস।
দিল্লিতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ এর বেশি কনজাংটিভাইটিস কেস আসছে ডাক্তারদের কাছে। মূলত হাতের ছোঁয়া লেগে ছড়ায় এই রোগ। ৩-৪ দিনের মধ্যেই চোখ ওঠা সেরে গেলেও নতুন স্ট্রেনের কারণে মারাত্মক আকার ধারণ করছে এই রোগ। তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের মাধ্যমে চোখ ওঠা রোগের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। আর তাই আক্রান্ত হওয়ার আগে জেনে নিন কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধে কী কী করণীয়।
লক্ষণ
চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভা লাল হয়ে যায়। চোখ থেকে অনবরত জল পড়তে থাকে, চোখের পাতা ফুলে যায় এবং পুঁজ জমতে থাকে। চোখের ভেতর কিছু ঢুকে আছে বলে মনে হয়। ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ খুলতে সমস্যা হয় এমনকি চোখের পাতা ফুলে গিয়ে চোখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে বর্তমানে চোখের পাতা ফুলে না গেলেও চোখ যন্ত্রণা ও চোখের সাদা অংশ টকটকে লাল হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিরোধ
- কনজাংটিভাইটিস মারাত্মক ছোঁয়াচে একটি রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে কয়েকটি জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তির চশমা, রুমাল, সানগ্লাস, তোয়ালে, টিস্যু পেপার, বালিশ বা চোখে ব্যবহৃত কোনরকম প্রসাধনী ব্যবহার করলে সুস্থ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। তাই অন্যের পার্সোনাল হাইজিং এর ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার না করাই ভালো।
- হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই কনজাংটিভাইটিস ছড়ায় বেশি। তাই বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত এবং কোন অবস্থাতেই চোখ চুলকানো বা চোখ রগরানো যাবেনা। দরকার হলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। খাবার আগে অবশ্যই হাত ধুতে হবে।
- এছাড়াও পাবলিক প্লেসে সিঁড়ির রেলিং, লিফটের বোতাম ইত্যাদি না ছোঁয়ার চেষ্টা করতে হবে। পরিশেষে অবশ্যই বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে হাতমুখ ধুয়ে পরিস্কার করতে হবে। পার্সোনাল হাইজিন না থাকলে কনজাংটিভাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বাড়িয়ে তোলে।