নিউজ ডেস্ক: কালীঘাট এম এস–১; মোহনবাগান-১
জয়ের যাবতীয় মশলা মজুত ছিল। মাঠ ভর্তি উপচে পড়া দর্শক ছিল। গ্যালারিতে বসে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের তারকারা। তাঁদের সামনেই থমকে বাগানের বিজয়রথ। ঘরের মাঠে আর্মান্দো সাদিকু, অনিরুদ্ধ থাপা, জেসন কামিংন্সদের সামনে জিততে পারল না মোহনবাগান। প্রথমে পিছিয়ে থেকেও পরে তারা কামব্যাক করে। তবে ওখানেই শেষ। আর গোল করে দলকে জেতাতে পারেনি বাস্তব রায়ের ছেলেরা। ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে। তবে ম্যাচে দুই দলই দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। পুরো ম্যাচ জুড়ে কালীঘাট মিলন সংঘ চাপে রেখেছিল মোহনবাগান রক্ষণকে। একটা অসহায় লেগেছে বাগানের রক্ষণকে।
বর্তমানে কলকাতা লিগে ভালো ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান। এবার তারা তরুণ প্লেয়ারদের নিয়ে দল তৈরি করেছে। দলে বেশিরভাগ অনূর্ধ্ব ২১ প্লেয়ার রয়েছেন। আছে অনূর্ধ্ব ১৭ দলের বিশ্বকাপারও। তথাকথিত ছোট দল হলেও কালীঘাটের মতো টিমকে আটকাতে মোহনবাগানকে বেশ বেগ পেতে দেখা যায়। ম্যাচের শুরুতেই কর্নার পায় কালীঘাট মিলন সংঘ। কিন্তু তা আটকে যায় মোহনবাগান ডিফেন্সে। ৫ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় কালীঘাট মিলন সংঘ। ৪০ মিটার দূর থেকে শট নেয় কালীঘাট, কিন্তু তা বাইরে যায়। ৯ মিনিটে অপর একটি সুযোগ পেয়েছিল কালীঘাট। কৌস্তভ একটি বল পান বাঁদিক থেকে তিনি বলটি ক্রস বাড়ান, কিন্তু সেই সময় বক্সে কোনও প্লেয়ার না থাকায় তা মিস হয়।
আরও পড়ুন: Mohunbagan FC: পাঁচ নকশা থেকে নয়া জার্সি মোহনবাগানের
সুহেল কালীঘাটের ডিফেন্সে বলটা পান। আর সঙ্গে সঙ্গে তিনি শট নেন। তবে ব্যালেন্স করতে না পারায় তা সঠিক জায়গায় রাখতে পারেননি। এরপর আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান, কিন্তু কালীঘাটের ডিফেন্সের সামনে তারা আটকে যায়। ২৯ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের মিডফিল্ডার হ্যান্ডবল করে বসেন পেনাল্টি বক্সের ভিতরে, পেনাল্টি পায় কালীঘাট। চাঁদ মূর্মু বলটা সহজেই গোলে ঢুকিয়ে দেন। পিছিয়ে যায় মোহনবাগান।
এরপর দুই দলই একেরপর এক আক্রমণ করতে থাকে। মোহনবাগান বেশ কয়েকটা আক্রমণ শানালেও তা কালীঘাটের ডিফেন্স আটকে যায়। ৪৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। সুহেল গোল করে সমতা ফেরান। হাফটাইমে ম্যাচের স্কোর ১-১ থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দুই দল কিছুটা ধীরে করে। দুই দল বেশ কিছুটা পরিবর্তন করে। ৫৩ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পায় মোহনবাগানের সুহেল, কিন্তু তিনি সঠিক পাস দিতে পারেননি। ৫৬ মিনিটের মাথায় নাওরেম বল পান, কিন্তু বলের দখল রাখতে পারেননি। ৬৮ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের একটি নিশ্চিত গোল আটকে দেন কালীঘাটের গোলকিপার অভিজিৎ সর্দার। ফ্রি কিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন তিনি।
৮৫ মিনিটে কালীঘাটের দুর্দান্ত আক্রমণ বাঁচান মোহনবাগান গোলরক্ষক আর্শ। সৌরভ সাব্বারের একটি শট আটকে দেন আর্শ। এতেই কালীঘাট তেতে ওঠে। অতিরিক্ত সময়ের ২ মিনিটে মোহনবাগানের দীপেন্দু বিশ্বাস দুর্দান্ত শটে গোল করেন, কিন্তু সেটা অফসাইডের কবলে পড়ে। কালীঘাটের গোল নাকচ করে দিয়েছে রেফারি। তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ কালীঘাটের কর্তারা।