নিউজ ডেস্ক: যত্রতত্র পড়ে রয়েছে আবর্জনা। কেউ মুখে রুমাল চেপে, কেউ শাড়ির আঁচল ঢেকে যাতায়াত করছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা করাতে আসতে হচ্ছে রোগী ও তাদের পরিবারকে। দক্ষিণ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে হাসপাতালের এই ছবিতে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে। বান্দোয়ান বিধানসভার বিধায়ক তথা ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রাজীবলোচন সরেন বলেন,” বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ সাফাইয়ের কাজ। ফলে প্রসব কক্ষ থেকে জরুরি বিভাগের সমস্ত উচ্ছিষ্টে উপচে পড়েছে ডাস্টবিন। শুধু হাসপাতাল অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ নয়। হাসপাতালের চার পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে আবর্জনা। সঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি জমে হাসপাতালের ভেতরে মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। হলদে গাঢ় জমা জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। যার ফলে হাসপাতালই হয়ে উঠেছে ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর! একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করাতে আসছেন রোগী ও তাদের পরিবারকে। তবে এক মুহূর্তের জন্যেও নাক-মুখ চাপা ছাড়া হাসপাতাল থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শুধু রোগী বা তাদের পরিজনরাই নন। সমস্যায় পড়েছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক থেকে হাসপাতালে ডিউটিতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা। এমনকি চিকিৎসক-সেবিকারাও।
আরও পড়ুন: SSC Corruption: আপাতত বন্ধ খামে জমা দেওয়া হোক OMR শিট, সুপ্রিম রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি? বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজীরাম মুর্মু জানান, “হাসপাতালের আবর্জনা সাফাইয়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থার চুক্তি সমাপ্ত হয়ে যাওয়ায় সাফাই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে।” কিন্তু এহেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা করাতে এসে ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগীর পরিবার।