নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ মণিপুর। সংসদে এই প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ বিরোধীদের। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার দাবিতে একাধিকবার মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। অবশেষে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিরোধী জোট। বুধবার সেই প্রস্তাব গ্রহণও করে নিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। আসলে সংখ্যার বিচারে কোনও রকম বিপদ নেই বিজেপি সরকারের। বরং বিতর্কপর্বে ‘মোদী বনাম বিরোধী’ এই বক্তব্যকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে এনডিএ।
অনাস্থা প্রস্তাবে মোদী সরকারের যে কোনও ‘ভয়’ নেই, তা ভালোভাবেই জানে বিরোধী শিবির। তা সত্ত্বেও মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে ‘কোণঠাসা’ করার জন্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। উল্টো দিকে, নির্বাচনী আবহে কংগ্রেস সহ বাকিদের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে এই সুযোগকেই পাল্টা হিসেবে কাজে লাগাবেন মোদী। অন্তত বুধবার আইটিপিও’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। বিজেপির তৃতীয় দফাতেও তাঁর নেতৃত্বের কথা বলে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন ২৪’এর লোকসভা নির্বাচনে জেতা নিয়ে এক ফোটাও চিন্তিত নন তিনি। উপরন্ত, নাম না করে ফের একবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘রাজতন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আসলে দেশের স্বার্থে নয় ‘মোদীকে হারাতেই’ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধেছে বাকি বিরোধীরা। আর সেই বিষয়টিকেই এবার ‘হাতিয়ার’ করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন: Parliament Monsoon Session: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদের
বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে স্পিকার ওম বিড়লা স্বীকৃতি জানালেও, এই বিষয়ে বিতর্কের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। এই প্রসঙ্গে স্পিকার বিড়লা জানিয়েছেন, সমস্ত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই ঘোষণা করা হবে। অবশ্য ভোটাভুটি হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে হারের কোনও সম্ভাবনা নেই বিজেপির।
Tags: NULL