নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরান পোড়ানো নিয়ে এখনও ধুন্ধুমার অবস্থা সুইডেনে। দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা আশঙ্কা করছে, সাম্প্রতিক কোরান পোড়ানো নিয়ে যে হিংসাত্মক প্রদর্শনগুলি চলছে তা সুইডেনের নিরাপত্তার জন্য ভয়ঙ্কর। মুসলিম দেশগুলির কাছে সুইডেন নিয়ে বিরূপ প্রতিচ্ছবি তৈরি হওয়ার কারণে যে কোনও মুহূর্তে ইসলামিক কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির টার্গেট হয়ে যেতে পারে দেশটি। সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনাও এদখা দিয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমের উদারপন্থী দেশগুলির মতোই সুইডেনেও বাধা নেই কোনও ধর্মগ্রন্থের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা কিংবা পুড়িয়ে প্রতিবাদ করা। অর্থাৎ কোরান পোড়ানোতে বাধা দেওয়ার মতো কোনও আইন নেই সুইডেনে। ১৯৭০ সাল থেকেই সুইডেনে পরিত্যক্ত হয়েছে যে কোনওরকম ধর্মীয় নিন্দা সংক্রান্ত আইন। এদিকে, দিনকয় আগে স্টকহোমে ইরাকের দূতাবাসের সামনে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় দু’জন। পাশাপাশি, ইরাকের জাতীয় পতাকাকে মাড়িয়ে করা হয় অপমান। ঘটনার প্রতিবাদে ইরাকে সুইডেনের দূতাবাস পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত মুসলিম প্রতিবাদীরা। এমনকি সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কার করে দেওয়া হয় ইরাক থেকে।
এদিকে গত সোমবার কোরান পুড়িয়ে ইসলামিক কট্টরতার প্রতিবাদ করা হয় ডেনমার্কেও। ‘ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস’ নামের একটি সংগঠন ডেনমার্কে অবস্থিত ইরাকের দূতাবাসের সামনে কোরানের কপিতে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে বেগতিক। ইরাক, আলজেরিয়া, ইয়েমেন সহ একাধিক মুসলিমদেশ প্রতিবাদ করে এই ঘটনার। এমন কি হাজার খানেক মুসলিম প্রবেশ করার চেষ্টা করে ইরাকের ডেনমার্কের দূতাবাসের ভিতরেও। ইয়েমেনর রাজধানীতে মুসলিম প্রতিবাদীদের হাতে দেখা যায় অস্ত্রসস্ত্রও। উদারপন্থী দেশগুলির আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য ইসলামিক কট্টরতা যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, তা ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্কের পরিস্থিতি পর্যালোচনা থেকেই বোধগম্য।