নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ মহামারীর আকার নিচ্ছে ডেঙ্গু। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এবার বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই দেশে এখনও পর্যন্ত ১৭৬ জন মারা গিয়েছেন ডেঙ্গুতে। আক্রান্তের সংখ্যা ২২৯২ জন। এর মধ্যে কেবল ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৬৪ জন এবং বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১২৮ জন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলিতে বেড সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫টি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬টি এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অন্যদিকে, শহরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বাংলাদেশিদের রক্ত পরিক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন। সীমান্ত পেরিয়ে কেউ ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে এদেশে প্রবেশ করলে তা আগেই ধরা পড়ে যাবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার প্রায় সর্বত্র ডেঙ্গুর প্রকোপ। ইতিমধ্যেই এই রোগের কবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে শহরের প্রথম সারির বেসরকারিক হাসপাতালগুলি। তাই আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে বেড মজুত করা শুরু করেছে তারা। কলকাতার বাইরের জেলাগুলিতেও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। ফলে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গরম পড়তেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। শুরু হয় ঢাকায়। পড়ে বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে এই মারন ব্যাধি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথমে গরমে এই সংক্রমণ হত। যার কারণে একে মৌসুমী জ্বর বলে ধরা হত। তবে শেষ কয়েক বছরের প্রতিটি মরশুমেই এই রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না শেখ হাসিনার সরকার বলেই অভিযোগ দেশবাসীর।
অবশ্য ঢাকার ২টি কর্পোরেশনের দাবি, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু আবাসন ও সংস্থার অফিসের চত্বরের জমা জলে মশার লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে কর্পোরেশনের তরফে। পুরকর্তাদের দাবি, হাজার প্রচার সত্ত্বেও সচেতন করা যাচ্ছে না সাধারণ মানুষদের।