নিউজ ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল: ৫ (আমন ২, দীপ, গুইতে, রাজিবুল)
ইস্টার্ন রেল: ১ (দিব্যেন্দু)
চার বছর পর ঘরের মাঠে খেলতে নামল ইস্টবেঙ্গল। ফলে দর্শকদের মধ্যে উদ্দীপনা ছিল ভরপুর। লাল-হলুদ রংয়ের স্মোক বোম্ব ছিল মজুত। বৃষ্টির কারণে গ্যালারি দর্শকদের উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। মাঠে দুরন্ত ফুটবলের জন্য ছিল উপযুক্ত পরিবেশ। ফুটবলাররাও নিজেদের উজাড় করে দেন। গোল দেন পাঁচ-পাঁচটি।
প্রতিপক্ষ ইস্টার্ন রেল অবশ্য কোনোরকম প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দেখাতে পারেনি। একটি মাত্র গোল করা ছাড়া। সেই গোলটি অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের মারাত্মক ভুলের মাসুল গুনতে হয়েছে।
সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেন লাল হলুদের তরুণ ব্রিগেড। পাঁচ গোল দিয়ে ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল করেন আমন। তবে দুর্বল প্রতিপক্ষ ইস্টার্ন রেলের কাছেও গোল হজম করে চিন্তায় থাকবে দলের রক্ষণ। এদিন ম্যাচ শুরুর আগে ইস্টবেঙ্গলের ড্রেসিংরুমে যান নয়া কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। পেপ টক দেন তরুণ খেলোয়াড়দের। তারপরে মাঠে নেমে বিপক্ষকে পাঁচ গোলের মালা পরাল লাল হলুদ ব্রিগেড।
কলকাতা লিগের ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠে পৌঁছে যান কুয়াদ্রাত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ও। এদিনের ম্যাচে খেলতে নামা তরুণ ব্রিগেডের সঙ্গে কথা বলেন স্প্যানিশ কোচ। নতুন কোচের পেপ টকে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নেমে পড়েন লাল হলুদ ব্রিগেড।
ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট ছিল লাল হলুদের। ২১ মিনিটে দীপ সাহার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই গোল করেন গুইতে ও আমন। ৩-০ এগিয়ে থেকে বিরতির পর খেলা শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য গোল করেন ইস্টার্ন রেলের দিব্যেন্দু। তবে আমন আর রাজিবুলের গোলে জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টার্ন রেলের কোচ প্রশান্ত চক্রবর্তী হারের জন্য নিজেকে দায়ী করে মাঠে পদত্যাগ করেন।