নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির জের! পশ্চিমবঙ্গের বি এড এবং ডি এল এড পরীক্ষায় পাস করা চাকরি প্রার্থীদের সার্টিফিকেট স্ক্রুটিনি করা নির্দেশ দিল আসাম সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন মধ্য শিক্ষা দফতরের আধিকারিক মমতা হজাই। তিনি সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা বিএড এবং ডিএলএড পাস চাকরি প্রার্থীদের সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক আকার নিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না যার জেরে অন্য রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে মনে বাংলার এই সার্টিফিকেটধারী চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে সন্দেহ দানা বেধেছে। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সারা ভারতবর্ষে প্রচারিত হয়েছে তাতে বাংলার বিএড, ডিএলএড সার্টিফিকেটধারী চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ জাতীয় ক্ষেত্রে দিন দিন কমছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে যথেষ্ট লজ্জার বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: BSF Jawan: বিএসএফ জওয়ানের জায়গা বাংলায়, জমি পুনরুদ্ধার করতে গেলে বাধা পুলিশের
অতীতে অন্য রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের সার্টিফিকেটের যে মূল্য ছিল তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে দুর্নীতি জেরে তলানিতে এসে ঠেকেছে এমনটাই মনে করছেন শিক্ষা মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত অতীতে গণ টোকাটুকির জেরে বিহারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সার্টিফিকেটের মূল্য তলানিতে ছিল। কিন্তু বিহারে সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে অনেক দিন। দুর্নীতির অভিযোগ থেকেও সেই নিজেকে অনেকটাই মুক্ত করতে পেরেছে প্রতিবেশি রাজ্য। অতীতে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান সময়ের চেয়ে পরীক্ষায় অনেক কম নম্বর দেওয়া হলেও সেই সার্টিফিকেটের মূল্য চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে ছিল যথেষ্ট। কিন্তু মমতা সরকারের আমলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে যথেচ্ছ নম্বর প্রদান এবং নিয়োগ দুর্নীতির জেরে শিক্ষকতার চাকরির ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় বিএড এবং ডিএলএড সার্টিফিকেটগুলি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সন্দেহের তালিকায় চলে এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।