নিউজ ডেস্ক: দেশের অন্যতম যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম রেল ব্যবস্থা। এই রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করার জন্য কেন্দ্র সরকার নানা রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু এই আধুনিকীকরণ কাজে শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে কতখানি রেলের নিয়ম মেনে কাজ করাচ্ছেন টেন্ডার পাওয়া কন্ট্রাক্টাররা সেই দিকটা অতটা দৃষ্টিগোচর হয় না। সেই রকমই নিরাপত্তাহীনতা ও অসাবধানতামূলক কাজের ছবি ধরা পড়ল শেওড়াফুলিতে।
হুগলি জেলার শেওড়াফুলি জংশন পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুতেপূর্ণ স্টেশন। এই স্টেশন থেকে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার মানুষ রেল পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। এই জংশন থেকেই শৈব তীর্থ তারকেশ্বর যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রাবণ মাসে বহু মানুষ পুণ্য লাভের আশায় তারকেশ্বর যাওয়ার জন্য এই শেওড়াফুলি স্টেশন ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও বহু নিত্যযাত্রী এই স্টেশন থেকেই রেল পরিষেবার সুযোগ নেয়। রেল যাত্রীদের সুবিধার্থে এই শেওড়াফুলি স্টেশনে রয়েছে তিনটি ফুট ওভারব্রিজ। যার মধ্যে একটি ব্রিজ সংযোগ স্থাপন করে এক থেকে ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত। মূলত এখান থেকে সবকটি প্ল্যাটফর্মে নামাও ওঠা যায়। আরেকটি ওভারব্রিজ থেকে শুধুমাত্র এক নম্বর দু-নম্বর প্ল্যাটফর্ম ও ৫ নম্বর ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামা ওঠা যায়। তিন ও চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই ওভারব্রিজ দিয়ে নামা ওঠার কোনো ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! বিএড ও ডিএলএড সার্টিফিকেট স্ক্রুটিনি করার নির্দেশ
শুক্রবার দেখা যায় এই ওভারব্রিজগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রংয়ের প্রলেপ লাগানোর কাজ চলছে। এই কাজ করছেন যে শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থাই নেই। সেফটি বেল্ট ছাড়া তারা প্রাণ হাতে নিয়ে অতি ক্ষমতা সম্পন্ন ওভারহেড তারের উপর দিয়ে যাওয়া ফুট ওভার ব্রিজের রংয়ের কাজ করছে। একটু অসাবধানতাবশতই ঘটে যেতে পারে এক বড়সড় দুর্ঘটনা। এই বিষয়ে এক ঠিকাদার কর্মীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি মুখ খুলতে চাননি। নিত্য যাত্রীরা বলেন, “রেল ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ হোক তা আমরা সকলেই চাই। কিন্তু এই গরিব খেটে খাওয়া শ্রমিকের নিরাপত্তার দিকটাও দেখা উচিত ঠিকাদার কর্মী ও রেল আধিকারিকদের”।