নিউজ ডেস্ক: ‘রংমশাল’ পত্রিকার হাত ধরে সাহিত্যজগতে প্রবেশ মহাশ্বেতার। প্রথম জীবনে সুমিত্রা দেবী ছদ্মনামেই লেখালেখি করেছেন তিনি। ‘রংমশাল’ থেকে ‘সচিত্র ভারত’, তারপর ‘মৌচাক’ একের পর এক পত্রিকায় লিখতে লিখতে বেশ খ্যাতি বাড়ছিল। ঘটক পরিবারে জন্ম হলেও অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। বাবা মণীশ ঘটক লিখতেন, লেখাই ছিল তার জীবিকা। লেখার টাকা দিয়েই চলত তিনজনের সংসার। মহাশ্বেতাও কোথাও গিয়ে বাবার প্রভাবকে অস্বীকার করতে পারেননি। বাবার মতই একদিন ঠিক করলেন লিখবেন। লেখক হবেন। এভাবেই শুরু হল তার প্রত্যক্ষ সাহিত্যজীবন। বলা ভালো সাহিত্যকে কেন্দ্র করে তার জীবিকা সন্ধানের তাগিদ।
১৯৪৭। দেশ স্বাধীন হল আর মহাশ্বেতা হয়ত পরাধীন হলেন। বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিয়ে হল তার। বিয়েতে মত ছিল না মহাশ্বেতার। ছোটবেলার বান্ধবী রাজলক্ষ্মী দেবীকে চিঠিতে লিখছেন, ‘বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে আমার বিয়ে হচ্ছে, আমি বিয়ে করছি না, আমার বিয়ে হচ্ছে…’। তারপর বিজনের সঙ্গে দাম্পত্যে নেমে আসে আবার অভাব, চরম দারিদ্র্য। লোভ বা চাহিদা কোনোটাই ছিল না মহাশ্বেতার। কোনোভাবে চলে গেলেই হত তার। কিন্তু তারই মাঝে নিজের স্বাধীনতা খুঁজে নেওয়ার একটা প্রয়াস ছিল। বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিয়ে হবার সময় তার বয়স ছিল ২৩। পরে বিচ্ছেদ হয়, অসিত গুপ্তকে বিয়ে করেন মহাশ্বেতা। তার মূলেও ছিল একটা অর্থনৈতিক অবলম্বন খুঁজে নেওয়া, সেটা না পাওয়ায়, স্বাধীনতা না পাওয়ায় অসিত গুপ্তের সঙ্গেও দাম্পত্য টেকেনি তার।
Tags: NULL