নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগে রাশিয়ায় তিন দিনের সফরে গিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। পুরনো ‘বন্ধু’র সঙ্গে এবার দেখা করতে চিন সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অক্টোবর মাসে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ ফোরামের বৈঠকের সময় রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফর বলে জানিয়েছে রাশিয়ার বিদেশনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকোভ। বলে রাখা ভালো, ইউরোপ এবং আফ্রিকার সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলির যোগাযোগের জন্যে বেজিং’এর ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভ’(BRI) প্রকল্প।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উযবেকিস্তানের একটি সম্মেলনে আলাদাভাবে দেখা করেন পুতিন-জিনপিং। সূত্রের খবর, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। ঘটনাচক্রে ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও বেজিং’এর শীতকালীন অলিম্পিকের মঞ্চে দেখা হয় দুই ‘বন্ধু’র।
এদিকে, ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের বিষয়ে প্রথম থেকে নিজেকে নিরপেক্ষ বলে দাবি করেছে চিন। এমনকি, মস্কোর বিরুদ্ধে ‘নিন্দা’ করা থেকেও বিরত থেকেছে প্রথম থেকেই। বরং দু’দেশের মধ্যে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব রয়েছে বলে গত বছর ঘোষণা করেন জিনপিং। উপরন্ত মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। সেই সঙ্গে, ন্যাটো এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন জিনপিং। ফলে সাত মাস পর দুই ‘বন্ধু’র দেখা হওয়ার বিষয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
তবে শুধু চিন নয়। তুর্কি এবং G-20 সম্মেলনের জন্যে ভারত সফরেরও পরিকল্পনা রয়েছে পুতিনের বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। অথচ গ্রেফতারি ভয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত আগস্টের অর্থনৈতিক সম্মেলন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন। উল্লেখ্য, কিয়েভের ঐতিহাসিক স্থানে হামলা, ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ এবং খাদ্য চুক্তি লঙ্ঘনের জন্যে পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ি করেছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত(ICC)। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে আইসিসি। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের এই সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। অবশ্য ইউরির দাবি ভারত, চিন এবং তুর্কি আইসিসি’এর আওতায় পড়ে না। সুতরাং, এই তিন দেশ সফরে কোনও বাধা নেই পুতিনের।