নিউজ ডেস্ক: ফের বিতর্ক চিন যাওয়া নিয়ে। চিনের দূতাবাস অরুণাচলের তিন উশু খেলোয়াড়ের ভিসা না দেওয়ায় ভারতীয় টিম প্রত্যাহার করে নিল বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গেমস থেকে। শুধু তিনজন খেলোয়াড় নয়, আট জন সদস্যের একটি দলকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটকানো হয়। বলা হয় চিন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
চিন এবং ভারতের মধ্যে সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের ভিত্তিতে অরুণাচল প্রদেশের প্লেয়ারদের সে দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কারণেই নয়া দিল্লির বিমানবন্দরে আটকানো হয় এই দলকে। কোচ রাঘবেন্দ্র সিংয়ের মতে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চিনে উড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে নয়াদিল্লির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচজন ক্রীড়াবিদ, একজন কোচ এবং দুইজন সাপোর্ট স্টাফ সহ একটি আট সদস্যের দলকে বোর্ডিং গেটে থামান। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরেই ভারত নিজেদের দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রাঘবেন্দ্র সিং এই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিমানবন্দরের গেটে ইমিগ্রেশন অফিসার ও কয়েকজন সিআইএসএফ কর্মীরা আমাদের আটকে দেয়। তারা নির্দিষ্ট কোনও কারণ দেখায়নি। তবে দাবি করে যে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।’ তিনি আরও জানান যে দলকে বিমানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাতে অরুণাচল প্রদেশের ক্রীড়াবিদরা ছিলেন না। অরুণাচল প্রদেশের ক্রীড়াবিদের শুক্রবার দুপুর ১ টা ০৫-এর ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: David Beckham: ম্যান ইউ’র মালিককে তোপ বেকহ্যামের
ফেডারেশনের আধিকারিকদের মতে, সকল ক্রীড়াবিদরা ১৬ জুলাই ভিসার জন্য আবেদন করেন। সবার আবেদন প্রক্রিয়া যথাসময়ে শেষ করা হলেও অরুণাচল প্রদেশের তিন অ্যাথলিট নেইমান ওয়াংসু, ওনিলু তেগা এবং মেপুং লামগুলের নথিপত্র গ্রহণ করা হয়নি। মঙ্গলবার তাদের আবেদনপত্র পুনরায় জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু চিনা দূতাবাস বুধবার বিকেলে তাদের ভিসার অনুমতি না দিয়ে পাসপোর্ট ফেরত দেয়।
চিন অতীতেও অরুণাচলের ক্রীড়াবিদ এবং কর্মকর্তাদের ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে। ২০১১ সালে কোয়ানঝোতে একটি প্রতিযোগিতার জন্য ওই রাজ্যের পাঁচ ক্রীড়াবিদকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার দুই বছর পরে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে দুই তীরন্দাজের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের ম্যানেজার জানিয়েছিলেন তিনি অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা হওয়ায় তিনি চিনা ভিসা পাননি।