নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষ জামিন পেলেন ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ধৃত দুই সমাজকর্মী। পাঁচ বছর ধরে জেলবন্দি থাকার পর শুক্রবার ভার্নন গঞ্জালভেস এবং অরুণ ফেরেইরার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মাওবাদীদের সঙ্গে দুই সমাজকর্মীর কোনও রকম সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়া জানান, “গঞ্জালভেস এবং ফেরেইরার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র সেই কারণে তাদের জামিন অস্বীকার করা যায় না। ইতিমধ্যেই ৫ বছর জেলে কাটিয়েছেন তাঁরা।” তবে জামিনের শর্ত হিসাবে গঞ্জালভেস এবং ফেরেইরাকে পুলিশের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’কে বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দুই সমাজকর্মীকে একটি করে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২০১৭ সালে পুনের কোরেগাঁও-ভীমা যুদ্ধ স্মারক এলাকায় দলিত সংগঠন এলগার পরিষদের বিজয়দিবসের অনুষ্ঠানে অশান্তি বাধে। পুলিশের দাবি, এই হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিলেন গঞ্জালভেস, ফেরেইরা, বর্ষীয়ান কবি ভারাভারা রাও, ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজ, অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বে-সহ ১১ জন বুদ্ধিজীবী। ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ জানায়, অভিযুক্ত এই ১৬ জন নিষিদ্ধ বাম সংগঠন মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। তাদের দাবি, তদন্তে নেমে মাওবাদীদের একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে এক অভিযুক্তের কাছ থেকে। এরপর বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) ধারার অন্তর্গত সকলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
পরবর্তী সময়ে ভারভারা, সুধা, নওলাখারা জামিনে মুক্তি পান। তবে গঞ্জালভেস এবং ফেরেইরার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। গত ৩১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দুই অভিযুক্ত।