নিউজ ডেস্ক: একসপ্তাহ তারা জল মাপছিলেন! অবশেষে চাপে পড়ে যৌথ অভিযানে প্রায় ৪০০ কিলো খোকা ইলিশ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ ও মৎস্য দপ্তর। ডায়মন্ডহারবার নগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তের সামনে থেকে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে অকশন করা হয়। গোটা সপ্তাহ জুড়ে সমুদ্রতট লাগোয়া জেলা থেকে শুরু করে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির বাজারে ছড়িয়ে পড়েছিল খোকা ইলিশ। সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে বিস্তর চর্চা হওয়ায় অবশেষে অভিযানে নামে প্রশাসন।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দার জানিয়েছেন, ট্রাকে বোঝাই হয়ে খোকা ইলিশগুলি বিভিন্ন খুচরো ও পাইকারি বাজারে পাচার হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এদিন সকালে ৪০ কেজি ও বিকেলে আরও সাড়ে তিন কুইন্টাল খোকা ইলিশ ওই ট্রাকগুলি থেকে বাজেয়াপ্ত করে। বাজেয়াপ্ত হওয়া খোকা ইলিশগুলি অকশন করে মৎস্য দপ্তর।
আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলা দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু
সহ মৎস্য অধিকর্তা জানান, এদিন ৪০ কেজি খোকা ইলিশ প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে এবং সাড়ে তিন কুইন্টাল খোকা ইলিশ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে নিলাম করা হয়েছে। নিলাম চলাকালীন মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমুদ্রের রূপালি শস্য বাঁচাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে বলেও তিনি জানান।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “এধরনের পদক্ষেপে খুশি মৎস্যজীবী মহল ও সংগঠনগুলি। সরকারি নিয়মে ২৩ সেন্টিমিটারের নিচে ইলিশ ধরা ও কেনাবেচা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন সেই নিয়মকে থোড়াই কেয়ার করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন খোকা ইলিশ ধরা ও কেনাবেচার অসাধু ব্যবসা। বেআইনিভাবে যারা খোকা ইলিশ ধরার ও কেনাবেচা করার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন”। কেবল একদিন অভিযান চালালেই হবে না, লাগাতার অভিযান চালিয়ে ওই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।