নিউজ ডেস্ক: পূর্বঘোষিত সূচি মতোই মণিপুরে পৌঁছলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ১৬টি দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার মোট ২১ জন সাংসদ রওনা দিয়েছেন মণিপুরের উদ্দেশে। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন এই দলে রয়েছেন ডিএমকে’র কানিমোঝি, সিপিএম’এর এএ রহিম, জেডি(ইউ)’এর লালন সিং, আরজেডি’এর মনোজ ঝা’র মতো বিরোধী সাংসদরা।
শনিবার প্রথমে ইম্ফল থেকে কপ্টারে চূড়াচাঁদপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে বিরোধী জোটের সাংসদদের। সেখানে দাঙ্গা কবলিত উপত্যকা এবং পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করবেন তাঁরা। ত্রান শিবিরগুলিতেও যাওয়া পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। হিংসার ঘটনা নিয়ে রবিবার মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে বিরোধী সাংসদদের।
প্রসঙ্গত, হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুর নিয়ে বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের নিশানায় কেন্দ্র সরকার। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুরের একাধিক হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে দুই কক্ষ। এমনকি, মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট।
এই পরিস্থিতিতে দু’দিনের মণিপুর সফরের সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধী জোট। ঘটনাচক্রে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্যে নিরাপত্তার স্বার্থে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সফরে বাধা দেয় মণিপুর সরকার। অতীতের সেই ঘটনার কারণে বিরোধীদের এই সফর নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখা যাক বিরোধীরা। বলেন, “গণতন্ত্র কাউকে আটকানো যায় না। রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই”।
I.N.D.I.A জোটের মণিপুর সফর নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, পশিচমবঙ্গ এবং রাজস্থানেও মহিলারা অসুরক্ষিত। অথচ সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিরোধীরা বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তাঁর কথায়, “মণিপুর ঘুরে আসার পর ২০ জন সাংসদদের কি বাংলায় নিয়ে আনবেন অধীর? রাজস্থানে কি নিয়ে যাবে কংগ্রেস?”