নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময় ইউক্রেনের উপর হামলার ঝাঁঝ বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু থেমে নেই ইউক্রেনও। গত এক মাস ধরে প্রতিপক্ষকে দমানোর জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছে কিয়েভ। আক্রমণের ঝাঁঝ আরও এক মাত্রা বাড়িয়ে এবার রুশ সীমান্তবর্তী এলাকায় মিসাইল হামলা চালালো জেলেনস্কি সেনা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, শুক্রবার দেশের দক্ষিণে সীমান্তবর্তী রোস্তভ প্রদেশের তাগানরোগ শহরে জনবসতি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় কিয়েভ। যদিও মাঝ আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করে দেয় রুশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। তবে মিসাইলের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি রুশ প্রশাসনের।
রোস্তভ প্রদেশের গভর্নর ভ্যাসিলি গলুবেভ জানান, ইউক্রেনীয় S200 মিসাইলের কারণে মধ্য তাগানরোগের ‘চেকভ গার্ডেন’ ক্যাফের কাছ একটি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৫ জন। যদিও ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছেন গলুবেভ।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহর। যুদ্ধ শুরুর দিকে মস্কোর তুলনায় বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে ছিল ভলোদিমির জেলেনস্কির সেনা। কিন্তু আন্তর্জাতিক সামরিক সাহায্য পাওয়ার পর আস্তে আস্তে হিংসাত্মক হয়ে উঠছে ইউক্রেন, তা বলাই বাহুল্য।
রুশ সেনার হাত থেকে হারানো জমি উদ্ধার করতে জুন মাসে কাউন্টার অফেন্সিভ শুরু করেছে কিয়েভ। ইতিমধ্যেই ডোনেৎস্কের উত্তরে বেশ কয়েকটি গ্রাম উদ্ধার করেছে তারা। দু’দেশের সীমান্তে স্থিত রোস্তভ শহরে এর আগেও হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে এই প্রথম মিসাইল হামলা চালাল ইউক্রেন সেনা। বলে রাখা ভালো, তাগানরোগ দিয়ে খুব সহজেই ইউক্রেনীয় বন্দর এলাকা মারিওপোলে যাওয়া যায়। গত বছর যুদ্ধের শুরু থেকেই যা রুশ সেনার দখলে রয়েছে।