নিউজ ডেস্ক: অবসরের সময় আসন্ন প্রায়। আর হয়তো টেনিস সার্কিটে কাউকে অনুকরণ করবেন না বিশ্ব টেনিসের জোকার। ম্যাচ প্রলম্বিত করতে করতে পাঁচ সেটে নিয়ে যেতে দেখা যাবে না তাঁকে। নোভাক জকোভিচের অবসরের সম্ভাবনা উসকে দিলেন সার্বিয়ান তারকার বাবা সার্জান জকোভিচ। তিনি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ছেলেকে নিয়ে। তাঁর ইঙ্গিত, ‘খুব বেশি হলে আর দেড় বছর তারপরেই অবসর নেবে জোকার।’
হয়তো ২০২৪ সালের টেনিস মরশুমের শেষে নোভাক জকোভিচ টেনিস কোর্টকে বিদায় জানাবেন। তাঁর র্যা কেট গিটারের সুর তুলবে না। সার্জান জকোভিচ বলেন, “আমার মতে সাত-আট বছর আগেই ও সব পেয়ে গিয়েছে। বাকি যা এখন পাচ্ছে তা বোনাস।” ৩৭ বছর বয়সি জকোভিচের ঝুলিতে এখন ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম। উইম্বলডন ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে হার মেনেছেন জোকার। তার পর থেকেই বিশ্ব টেনিস মহলে চর্চা চলছে, জোকারের দিন শেষ। নতুন যুগ শুরু হচ্ছে। জকোভিচের বাবা বলছেন, “টেনিস কেরিয়ারের শেষে নোভাক যা করবে, তার জন্যও ওকে সবাই প্রশংসা করবে। আমার মতে আগামী বছর ওর টেনিস কেরিয়ার শেষ হতে চলেছে।” সেই কোন ছেলেবেলা থেকে টেনিস নিয়ে বাঁচছেন জকোভিচ। পিট সাম্প্রাস ছিলেন তাঁর আদর্শ। একবার তাঁর কিট গোছানো দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন নোভাক জকোভিচের কোচ। প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি এত নিখুঁত করে কিট গোছানো শিখলে কী করে?
আরও পড়ুন: Olympic Games: ২০৩৬ অলিম্পিক ভারতে, দাবি করছেন ক্রীড়ামন্ত্রী
নোভাক বলেছিলেন, “সাম্প্রাসের দেখে শিখেছেন।” তাঁর কোচ রেডিওয় কান পেতে থাকতেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সার্বিয়ার কোন প্রান্তে বোমা পড়ছে, তা জেনে নিতেন। পরের দিন ছোট্ট জকোভিচকে নিয়ে শহরের সেই প্রান্তে অনুশীলনে যেতেন। কারণ শহরের একই প্রান্তে শত্রুপক্ষ বারবার বোমা ফেলে না।জোকারের বাবা মনে করেন, টেনিস তাঁর ছেলের জীবনের একটি অংশ কিন্তু সারাজীবন জুড়ে টেনিস জড়িয়ে থাকতে পারে না কারওর জীবনে।
সার্জানের মতে, পরের প্রজন্মের টেনিস খেলোয়াড়দের মঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। সার্জান জকোভিচ বলছেন, “আর হয়তো দেড় বছর। তার পরেই এই দারুণ কঠিন কাজ ছেড়ে দেবে নোভাক। বাবা হিসেবে এটাই আমার আশা। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে খুব চ্যালেঞ্জিং এই খেলা। ওর সঙ্গে তিরিশ বছর ধরে রয়েছি আমি। জীবনের অন্যান্য কাজগুলো করার মতো সময় কিন্তু আর হাতে নেই।”