নিউজ ডেস্ক: ইন্টার মিয়ামির সতীর্থদের বিশেষ উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। কী ছিল সেই উপহারে। তা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা। বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার সতীর্থদের সোনায় মোড়া আইফোন উপহার দিয়েছিলেন মেসি। প্রতিটি ফোনে বিশ্বকাপ ট্রফির ছবি, আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার লোগো, কাতার বিশ্বকাপের লোগো এবং উপহার প্রাপকের জার্সি নম্বর খোদাই করা ছিল। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যে প্রত্যেক ফুটবলারের কাছে তা পোঁছে গিয়েছিল।
এ বার আমেরিকার ক্লাবের টিমমেটদের তিনি দিয়েছেন একটি হেডফোনও। সেই হেডফোনে ইন্টার জার্সির রংয়ে তৈরি করা। রয়েছে ক্লাবের লোগোও। ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসে ইন্টার মায়ামির রাইট ব্যাক ডিআন্দ্রে ইয়েডলিনকে অভিনব হেডফোন ব্যবহার করার পর। পরে ইয়েডলিন বলেছেন, ‘দলের সবাইকে এই হেডফোন মেসি দিয়েছে। বলতে পারব না কিনে এনেছে না তৈরি করিয়েছে। তবে প্রথম ম্যাচ খেলার আগেই মেসি সবাইকে এই হেডফোন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: Olympic Games: ২০৩৬ অলিম্পিক ভারতে, দাবি করছেন ক্রীড়ামন্ত্রী
এরপরে উঠে আসছে মেসির আরও একটি দিক। যে দিন মেসিকে ফ্লোরিডা স্টেডিয়ামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া কথা ছিল, সে দিনটা ১৬ জুলাই। কিন্তু সে দিন সকালে জানতে পারেন টিমের কোনও ফুটবলারকে টিকিট দেওয়া হয়নি। কুড়ি হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। পড়েছিল একশো বিশেষ অতিথির টিকিট। টিমমেটদের সেই টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন খোদ মেসি। ক্লাবের কর্তাদের অনুরোধে করে।
প্রথমে ঠিক ছিল ১৬ ই জুলাইয়ের সেই অনুষ্ঠানে সতীর্থদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে মেসিকে। পরে সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়। তবে মায়ামির অন্য ফুটবলারেরা চেয়েছিলেন মেসি-বরণ অনুষ্ঠানে পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে উপস্থিত থাকতে। কিন্তু টিকিটের চাহিদা থাকায় চেষ্টা করেও পাননি দলের অন্যতম স্ট্রাইকার লিয়োনার্দো ক্যাম্পানা। তিনি দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছিলেন, ‘‘আমার একটা টিকিট দরকার। কারও কাছে কি আছে?’’ তিনি টিকিটের কথা লিখতেই মেসি লিখেছিলেন, ‘‘তোমার কতগুলো টিকিট দরকার?’’ তখনও ইন্টার মায়ামির অন্য ফুটবলারেরা জানতেন না মেসিকে যুক্ত করা হয়েছে। হঠাৎ মেসিকে লিখতে দেখে তাঁরা চমকে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার কথাও জানিয়েছিলেন ইয়েডলিন। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে মেসি কিন্তু মাঠের বাইরে পারফেক্ট টিম লিডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।