নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে সংসদে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বিরোধীরা। ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যদের মণিপুর যাত্রা নিয়ে স্পষ্ট জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর প্রশ্ন একটাই, বাংলা কিংবা রাজস্থানের পরিস্থিতিও কী একই ভাবে বাকিদের দেখাতে পারবে কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস!
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র বাংলা। প্রাণ হারান বহু মানুষ। বিজেপি মন্ত্রীর অভিযোগ, সেবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য প্রশাসন। বরং এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখে কুলুপ এঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেননি তিনি’ অভিযোগ অনুরাগের। শুধু বাংলা নয়। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানেও সুরক্ষিত নয় মহিলারা। অথচ সেবিষয়ে কোনও উত্তর নেই কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও মণিপুরের ঘটনায় উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন অনুরাগ নিজেও।
শনিবার পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী দিল্লি থেকে মণিপুরের উদ্দেশে রওনা দেন বিরোধী জোট I.N.D.I.A’র ১৬টি দলের ২১ জন সাংসদ। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ সুস্মিতা দেব, ডিএমকে’র কানিমোঝি, সিপিএম’এর এএ রহিম, জেডি(ইউ)’এর লালন সিং, আরজেডি’এর মনোজ ঝা’র মতো বিরোধী সাংসদরা।
ইম্ফলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কংগ্রেস সাংসদ অধীর জানান, মণিপুরের ঘটনার জন্যে বিশ্ব দরবারে ভারতের চিত্র নষ্ট হয়েছে। তাই উত্তর-পূর্বের ‘এই রাজ্যে যাতে দ্রুত শান্তি ফিরে আসে’, তা নিশ্চিত করতে বিরোধীদের এই সফর বলে জানান অধীর। পাশাপাশি, মণিপুরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে অন্য রূপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেসের এই সাংসদ। তবে অনুরাগের অভিযোগ, কেবলমাত্র দেশবাসীকে দেখানোর জন্যই বিরোধীদের এই মণিপুর সফর। উল্লেখ্য, ত্রাণশিবিরে যাওয়ার কথা রয়েছে বিরোধীদের। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘মানুষের পাশে দাঁড়াতে নয় ছবি তুলতে যাচ্ছেন বিরোধীরা’।
প্রসঙ্গত, মণিপুরের তিন মাসের ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০০ জনের। আহত বহু। ঘরছাড়া প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। কেউ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে, কেউ আবার পড়শি রাজ্যে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছে।