নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে জ্বর-সর্দি-কাশির সঙ্গে বেড়ে ওঠে আরো অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব। তার মধ্যে অন্যতম ছত্রাক ঘটিত রোগ। বর্ষায় জল জমা শহরবাসীর কাছে নতুন কিছু নয় কিন্তু এই জমা জলেই লুকিয়ে থাকে বিপদ! নর্দমার নোংরা জল রাস্তায় এসে মিশলে সেই জলে থাকা রোগ জীবাণু দেহের সংস্পর্শে আসে এবং সংক্রমণ তৈরি করে। শুধুমাত্র ব়্যাশ, চুলকানি নয় ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ হয় বর্ষাকালে। গ্রীষ্মকালে ঘাম জমে থাকার ফলে ছত্রাক সংক্রমণ বেশি হলেও বর্ষাকালে গায়ে জমে থাকা ঘাম, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া ও অপরিচ্ছন্নতার ফলেও ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণের ঝুঁকিয়ে এড়াতে তাই মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম।
ছত্রাকের সংক্রমণ মূলত গরমকালে বেশি হলেও, বর্ষাকালেও এই সংক্রমণ হয়ে থাকে। ‘টি. মেন্টাগোফ্রাইটস’ নামের এক ধরনের ছত্রাকের ফলে বর্ষাকালেও ছত্রাক সংক্রমণ হয়। মাথায় রাখা ভালো শুধুমাত্র শিশুদেরই ছত্রাক সংক্রমণ হয় না। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে তাঁদের শরীরে ছত্রাক সংক্রমণ হয় বেশি। তবে প্রাপ্তবয়স্কদেরও ছত্রাক আক্রমণ হতে পারে।
ছত্রাক আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রথমেই উচিত বর্ষাকালেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ও নিয়মিত জামাকাপড় কেচে পরিষ্কার করা। বর্ষাকালে ভিজে জামা শুকোতে দেরি হয় বলে অনেকেই প্রতিদিনের জামা কাচেন না। ঘামে ভেজা জামা পরলে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণ সাধারণ ঠান্ডা লেগে সর্দির মতো নয় যে ঘরোয়া টোটকায় সেরে যাবে। চর্মরোগ হলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো জরুরী। কারণ ঘরোয়া টোটকায় ছত্রাকের সংক্রমণ আরো বেড়ে যায়। সর্বোপরি চর্মরোগ সারতে অনেক সময় লাগে। ফলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া অবধি ওষুধ খাওয়া উচিত। ত্বকের উপর থেকে ক্ষত সেরে গেলেও একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারেন রোগীর আর ওষুধ খাওয়ার দরকার আছে কিনা।