নিউজ ডেস্ক: শনিবারের বিকেলে চাঁদের হাটে মধ্যমনি ছিলেন অবশ্য বাবলু ভট্টাচার্য। তাঁকে বেশি লোক বাবলু নামে চিনতেন, না সুব্রত ভট্টাচার্য? এই বিতর্কের শেষ হবে না। মোহনবাগান ক্লাবে তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশের দিনে বহু প্রাক্তন ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন। আত্মজীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী। যিনি সম্পর্কে আবার সুব্রত ভট্টাচার্যের জামাই। আত্মজীবনী ‘ষোল আনা বাবলু’ প্রকাশের দিনে সুনীলকে নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি। যাঁর ফুটবল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মোহনবাগানেই। তখন কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য।
আজ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সুনীলকে প্রশ্ন করা হয়, কোনও সুব্রত ভট্টাচার্যকে পছন্দ কোচ বাবলুদা, না শ্বশুর বাবলুদা? সুনীলের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘কোচ বাবলুদা আমার পছন্দ। যাঁর কাছে আমি ফুটবলের প্রথম পাঠ নিয়েছি।’ পরে অবশ্য সংযোজন করেন, ‘ফুটবলার বাবলুদার খেলা আমি দেখিনি। কারণ তখন জন্মায়নি। তাঁর খেলার ভিডিয়ো বহু খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। কোচ বাবলুদাকে পেয়েছি।’ ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যকে বহু প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সকলে। সেই তালিকায় গৌতম সরকার, শ্যাম থাপা, তরুণ বসু থেকে শুরু করে প্রাক্তনদের লম্বা তালিকা। সেই চাঁদের হাটে বাবলুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গৌতম ভট্টাচার্যের লেখা এই আত্মজীবনী উদ্ধোধন করেন সকলে মিলে।
আরও পড়ুন: Mohun Bagan Day: মোহনবাগান দিবসে নেই শুভেচ্ছাবার্তা, তোপ গোয়েঙ্কাকেই
বেঙ্গালুরু থেকে এক বিমানে তিনি শহরে পা রাখেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন। সন্ধের বিমানে তিনি ফিরে যান বেঙ্গালুরুতে। ফলে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই তিনি মোহনবাগান তাঁবু ছেড়ে যান। যাওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার ট্রেনিং অনেকদিন শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই হয়ত বাংলাটা খানিকটা ভুলে গিয়েছি। তবে বাংলায় বলার চেষ্টা করব। প্রথমেই বলব যে বাবলুদার খেলা খুব বেশি দেখিনি। কারণ যখন উনি খেলতেন, সেই সময় আমি জন্মাইনি। আর পরে খুব বেশি একটা ভিডিয়ো খুঁজে পাইনি। তবে এটুকু বলতে পারি, দিল্লি থেকে আমি যখন প্রথমবার আসি, তখন মোহনবাগানের এই ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে আমি খুব বেশি জানতাম না। এই মানুষটাই (সুব্রত ভট্টাচার্য্য) আমাকে মোহনবাগান সম্পর্কে চিনতে এবং জানতে সাহায্য করেছে।’ অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ পর্যায়ে সুব্রত ভট্টাচার্য্যও সুনীলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন। তিনি বললেন, ‘সুনীল ছেত্রী আজ নিজের অধ্যাবসায়ের কারণেই এই সাফল্য অর্জন করেছে। ও অনেক বড় খেলোয়াড়। কারণ যথেষ্ট অনুশীলন করে। নিজের সাধনার মধ্যে দিয়ে আজ ও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।’
সবুজ-মেরুণের মঞ্চেই সুনীলকে সংবর্ধনা দেওয়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে। অতীতে যা ভাবা যেত না। বর্তমানে তা বাস্তব। উল্লেখ্য, ২০০২-০৩ মরশুমে সুনীল ছেত্রী মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে খেলতে এসেছিলেন। ২০০৮-০৯ সালে খেলেছেন লাল-হলুদ জার্সি গায়ে। মোহনবাগানে তিনি খেলেছেন তিন বছর। লাল-হলুদে ছিলেন মাত্র একটি মরসুম।