নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গুরুতর অসুস্থ। তার সেহ দুদিন কেটেছে হাসপাতালে। এখনো বিপদমুক্ত নন তিনি। নিজে থেকে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রয়েছেন তিনি। সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ডান-বাম-গেরুয়া সব পক্ষই বুদ্ধবাবুর সুস্থতা কামনা করছেন।
এমতাবস্থায় কি ভাবছেন সিঙ্গুরবাসী? ২০০৬ সালে এই সিঙ্গুরের মাটিতেই শিল্প আনার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একলাখী গাড়ি ন্যানো তৈরি করতে টাটারা এসেও ছিলেন। কিন্তু ফিরে যেতে হয় তাদের। একদিকে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনিচ্ছুক চাষীদের আন্দোলন অপরদিকে তা প্রতিহত করতে বাম সরকারের প্রশাসনের প্রতি নিয়ত প্রচেষ্টা। যদি এর ফাঁদে পড়েই ১০০০ কোটি টাকা লগ্নী করার পরেও পাততাড়ি গুটিয়ে গুজরাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় টাটা। রাজনৈতিকভাবে হার হয় স্বপ্ন বিফল হওয়া বামেদের।
আরও পডুন: Manipur Violence: ‘নতুন করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে বিরোধীরা’, দাবি অনুরাগের
সিঙ্গুরকে অনেকখানি হাতিয়ার করেই বর্তমানে সরকার বদলেছে, মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক দশক বাদে বর্তমান পরিস্থিতিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সেই সিদ্ধান্তকেই সিঙ্গুরের অনেকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মানছেন। তৎকালীন অনিচ্ছুক চাষীর সন্তানেরা আজ যৌবনে পা দিয়েছেন। তাদের একজন জানালেন বুদ্ধবাবুর সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। কারখানা হলে আজ অনেকেই কাজ পেতেন। চাষীরা এক্সুরে বললেন, কারখানা হলেই ভাল হত। প্রকল্প এলাকার মাটি আর চাশের যোগ্য নেই। আমরা চাই বুদ্ধবাবুর স্বপ্ন পূরণ হোক, আর বুদ্ধবাবুও সুস্থ হয়ে উঠুক। তৎকালীন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা বর্তমান মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “বুদ্ধবাবুর সঙ্গে আমাদের লড়াই ছিল না। আমাদের লড়াই ছিল তার দলের নীতির সঙ্গে। আমরা চাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য”।