নিউজ ডেস্ক: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান ‘তেজস’ এবার জম্মু-কাশ্মীরে। কাশ্মীরের পার্বত্য অঞ্চলে এই যুদ্ধবিমানকে পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ালো ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে এখনই প্রতিরক্ষার কোনও কাজে লাগানো হবে না এই যুদ্ধবিমানকে। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুসেনার পাইলটদের অভ্যেসের জন্য ট্রায়াল রান হবে তেজসের।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, “পাকিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপত্যকায় পাইলটদের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যে তেজসকে ফরোয়ার্ড বেসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে”। সেইসঙ্গে লাইট ওয়েট এই যুদ্ধবিমানে আর কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই অনুশীলনের মাধ্যমে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
চলতি বছরের ১ জুলাই ভারতীয় সেনায় সাত বছর সম্পূর্ণ হল তেজসের। সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু পরিবর্তন এনে এই লাইট ওয়েট এয়ারক্রাফ্টকে আরও শক্তিশালী করেছে ডিআরডিও। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমানকে পাকিস্তানি JF-17 যুদ্ধবিমানের থেকে বেশি শক্তিশালী হিসাবে ধরা হয়।
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই যুদ্ধবিমানের আক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্যে ফরাসি মিসাইল ‘হ্যামার’ ব্যবহার করা হবে ‘তেজস’এ। ইতিমধ্যেই দুই স্কোয়াড্রনকে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা(IAF)।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে তেজস কতটা অব্যর্থভাবে কাজ করতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে বায়ুসেনা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাকিস্তান এবং চিনের চোখ রাঙানির উত্তরে সীমান্তবর্তী এলাকায় এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে ভারত।