নিউজ ডেস্ক: কথা বলতে ভালোবাসেন তিনি, অসাধারণ তাঁর বাগ্মীতাও। বাচনভঙ্গি ও শিল্পের মেলবন্ধনে লাখো লাখো দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। বাবার পথে হেঁটেই ম্যাজিক নিয়েই কাজ করেছেন তিনি। শুধু মাত্র বাবার মতো ম্যাজিশিয়ানই নয় বরং কিছু ম্যাজিকের ক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গিয়েছেন তাঁর থেকেও। তিনি আর কেউ নন, পি সি সরকার জুনিয়র। আজকের দিনেই অর্থ্যাৎ ৩১ জুলাই ১৯৪৬ সালে জন্ম হয় তাঁর। এই বছর ৭৭ বছরে পা দিলেন তিনি।
স্বনামধন্য ম্যাজিশিয়ান পি সি সরকারের ছেলে হলেও ম্যাজিক দেখানোর অনুমতি ছিল না তাঁর। তবে পড়াশোনা শেষ করার পর প্রথম জাদু দেখিয়েছিলেন দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলে। সেই সময় তাঁর পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ১৫ টাকা। প্রথম ম্যাজিক দেখানোর ঘটনা মনে করে তিনি আক্ষেপ করেছিলেন সেই পারিশ্রমিকটাও দেওয়া হয়নি তাঁকে। তবে হাল ছাড়নেনি তিনি। ধিরে ধিরে পারদর্শী হয়েছিলেন ভ্যানিশ করার খেলায়। ছোট পয়সা তো বটেই পরবর্তী কালে জনসমক্ষে গায়েব করে দিয়েছিলেন আস্ত একখানি ট্রেন! এমনকী পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি, তাজমহলকেও দুমিনিটের জন্য অদৃশ্য় করে গিয়েছিলেন তিনি।
মানুষ কি এখনো ম্যাজিক দেখে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, ম্যাজিক বা জাদু তো চোখে দেখা যায় না, অনুভব করতে হয়। কেউ কোনো বস্তু ভ্যানিশ করতে পারলেই জাদুকর হয়ে যায় না, বরং জাদু দেখা যায় নৃত্যের ছন্দে, গানের তালে, সঙ্গীতের সুরে। পরবর্তীকালে রাজনীতিতেও নাম লেখান তিনি। যদিও রাজনীতির গেরুয়া বসনে ম্যাজিক দেখাতে পারেননি তিনি। যদিও এখন আর সেই ভাবে তাঁর ম্যাজিকের শো দেখা যায় না। তিনি জানিয়েছিলেন কলকাতার প্রেক্ষাগৃহগুলি তাঁর নিত্যনতুন ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, একবার তিনি একটি শো-তে জিপ গাড়ি ঢুকিয়েছিলেন তবে এখন সেটা সম্ভব নয়। ম্যাজিক নিয়ে তাঁর পাঁচটি বই রয়েছে। পৈতৃক ভিটে, ইন্দ্রজাল ভবন-এ জাদুঘর গড়ে তুলতেও আগ্রহী তিনি।