নিউজ ডেস্ক: শিলানাস্যের পর কেটে গেছে সাত-সাতটা বছর। কিন্তু পুরুলিয়া এক নম্বর ও আড়শা ব্লকের সংযোগকারী কাঁসাই নদীর ওপর আজও সেতু গড়ে ওঠেনি। সেতু নির্মাণে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগ হাতে প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করলেও তা মাঝপথে থমকে রয়েছে। তাই ফি বছর বর্ষার সময় নদী পারাপারে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী সেতু তৈরি করা যেন পুরুলিয়ার এই অঞ্চলের মানুষ জনের নিয়তি হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের ন’কোটির বেশি টাকায় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সেতুর শিলান্যাস করেছিলেন ওই বিভাগের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। ওই শিলান্যাসে দিন বদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন জেলার বলরামপুর ও জয়পুর বিধানসভার মানুষজন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবের মুখ দেখল না। বলরামপুর বিধানসভার মধ্যেই রয়েছে পুরুলিয়া এক ব্লক। জয়পুর বিধানসভায় আড়শা। এই সেতু নির্মাণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে থেকে এলাকার মানুষজন লড়াই করে যাচ্ছেন। একের পর এক আবেদনপত্র জমা করেছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে। কিন্তু কোনো কাজ-ই হচ্ছে না। এই সেতু নির্মাণে যেভাবে ডিপিআর (ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট ) তৈরি করা হয়েছিল সেই মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে। তাই প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থা পিছিয়ে গিয়েছে বলে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগ সূত্রে খবর।
তাই ২০২২ সালের মত এবারও গ্রামের মানুষজন নিজেদের মধ্যে চাঁদা আদায় করে কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পরিশ্রমে নদীর বুকে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী সেতু তৈরি করেছেন। তবে সম্পূর্ণভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরির কাজ এখনও হয়নি। আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। এই কাজে যুক্ত থাকা আড়শা ব্লকের বামুনডিহা গ্রামের বাসিন্দা রাখাল সিং সর্দার, মহেশ্বর মাহাতো জানান, “বর্ষা এলেই এই এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ জনের রুটি- রোজগার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই গত বছরের মতো এবারও আমরা বাঁশের অস্থায়ী সেতু তৈরি করছি। আমরা চাই অবিলম্বে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করুক সরকার। ফি বছর বর্ষায় এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি চাই।”
Tags: NULL