নিউজ ডেস্ক: ‘মণিপুরে মহিলাদের সঙ্গে যৌন হেনস্থার এটিই একমাত্র ঘটনা নয়’। বিবস্ত্র করে মহিলাদের হাঁটানোর ঘটনায় মামলার শুনানিতে এমনটাই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রধান বিচারপতির কথায়, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের দাখিল করা হলফনামায় মণিপুরে মহিলা নির্যাতনের কথা উল্লেখ রয়েছে।” নির্যাতি মহিলাদের সঠিয় বিচার দিতে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
গত ৪ মে মণিপুরে হিংসার বাতাবরণ তৈরির পরের দিন বিবস্ত্র অবস্থায় মহিলাদের রাস্তায় হাঁটানোর একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় কেন্দ্রের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী, ৬ মাস পর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। কিন্তু এদিন মামলাকারীরা জানান, তারা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চান না।
আবেদনকারীদের হয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, নির্যাতিতা মহিলারা মামলাটিকে রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করতে চাইছেন না। তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের পুলিশ সহযোগীতা করেছে, তা স্পষ্ট। মহিলাদের তারাই জনতার মধ্যে নিয়ে গেছিলেন। তারা যে নাগরিকদের সুরক্ষা করবেন, তার প্রমাণ কোথায়?” তবে কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা গঠন করে যদি শীর্ষ আদালত তদন্তের দায়ভার দেয়, তাতে তাদের কোনও সমস্যা নেই বলে জানান আইনজীবী সিব্বল। পাশাপাশি, নির্যাতিতাদের নাম প্রকাশ না করারও আরও একবার আর্জি জানান তিনি।
গত ১৯ জুলাই মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে আরও উত্তপ্ত হয়ে জাতীয় রাজনীতি। ভিডিও ভাইরাল হতেই থৌবাল জেলার নঙ্গপোক সেকমাই থানায় একটি এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এরপর ২০ জুলাই ঘটনাটির গুরুত্ব বুঝ একটি স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেয় শীর্ষ আদালত। এই ঘটনার পর কেন্দ্রের তরফে ঘটনার তদন্তভার সিবিআই’এর হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানান হয়।