নিউজ ডেস্ক: দিনের অনেকটা সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে কাটিয়েও ফোন না হলে চলে না? হাতের মুঠোয় ফোন না থাকলে মনে হয় জীবন থেকে কিছু একটা বাদ চলে গেল। রাত জেগে অন্ধকারেই সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল। তাতে চোখের ক্ষতি হচ্ছে জেনেও ফোন থেকে দূরে সরতে পারছেন না। এর একটা কারণ হতে পারে ফোনে আসক্তি। অফিসের কাজ, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগোযোগ, ছবি তোলা, গান শোনা সহ লেখালিখি করতেও ফোন ব্যবহার করেন। তবে প্রয়োজনের বাইরে আর বেরিয়ে আসতে পারেন না। মোবাইলের প্রতি অতি-নির্ভরতা নাকি এটা আসক্তি বুঝবেন কীভাবে?
কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন আপনি মোবাইল ফোনে আসক্ত কিনা! ঘর থেকেই শুরু করুন। মোবাইল ফোন চার্জে বসালে মন পড়ে থাকে সেই দিকেই। মাঝে মাঝেই উঠে গিয়ে দেখেন কতটা চার্জ হল। আবার চার্জে দিয়েও ফোন ব্যবহার ক্ষতিকর জেনেও ফোন চালিয়ে যান অনেকেই। মোবাইলে আসক্তির লক্ষণ এটি।
খুব তাড়াতাড়ি ফোনে টাইপ করতে পারা এবং অনেকগুলি প্ল্যাটফর্মের চ্যাটবক্সে এক সঙ্গে চ্যাট করে যাওয়াও এর লক্ষণ। দেখা যায় কারোর সঙ্গে কথা বলার চেয়ে চ্য়াট করতেই বেশি ভালোলাগে। আবার বেড়াতে গিয়ে ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকলে পাগল পাগল লাগে। তাহলে সাবধান! মোবাইলে আসক্ত হতে পারেন আপনি।
‘সাইবারসাইকোলজি বিহেভিয়র অ্যান্ড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে’ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে কমবয়সী ছেলেমেয়েদের মানসিক চাপের অন্যতম কারণই হল অতিরিক্ত মোবাইল সার্ফিং। বাড়ির আয়না থেকে অফিসের টয়লেট সবজায়গায় সেলফি তোলা এমনকী আপনার কাজের কারণে পাশের মানুষটি বিরক্ত হচ্ছেন কিনা না ভেবেই ফোনে ছবি তোলা স্মার্টফোনে আসক্তি বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটির অন্যতম কারণ হিসেবেও গবেষকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানোকেই দাবি করেছেন। তরুণ প্রজন্মের ৯০ শতাংশ ঘুমের সমস্যায় ভোগেন যার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার। তাই এই সমস্ত লক্ষণগুলি আপনার সঙ্গে মিলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দূরে থাকুন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।