নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়েছে চন্দ্রযান-৩। আপাতত চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে রুটিনমাফিক পাক খাওয়ার কথা যানের। তবে মিশন সফল করতে এখন একটাই লক্ষ্য, সফট ল্যান্ডিং। উল্লেখ্য, পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করার সময় চন্দ্রযানের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৩৭০০০ কিলোমিটার। এরপর চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার পর গতি বাড়িয়ে ৪০০০০ কিলোমিটারে পৌঁছে যায় এটি। তবে গতি বাড়ালেও সঠিক সময়ে অর্থাৎ অবতরণকালে এক ঝটকায় অনেকটা কমিয়ে আনতে হবে এই বেগ।
ISRO সূত্রে খবর, ল্যান্ডিংয়ের সময় ঘণ্টাপ্রতি ৮৫৬৮ কিলোমিটার গতি রাখতে হবে চন্দ্রযান-৩ কে। চাঁদের ১০০x৩০ কিলোমিটার কক্ষপথে প্রবেশ করার পরেই কমাতে হবে এই গতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাঁদে সফলভাবে অবতরণের জন্য সেকেন্ড প্রতি ১ কিলোমিটার গতিবেগ রাখতে হবে, অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় যা হবে ৩৬০০ কিলোমিটার। পরিকল্পনামাফিক গতি কমে এলে করানো হয়য় অবতরণ। এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মিশনে চাঁদের একদম কাছে পৌঁছেও শুধুমাত্র সফট ল্যান্ডিংয়ের কারণে ব্যর্থ হয়েছিল সেই মিশন। তবে এবার ত্রুটি শুধরে সঠিকভাবে ল্যান্ডিং করানোর জন্য যাবতীয় প্রযুক্তিগত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান-৩ কে।
উল্লেখ্য, এর আগে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন চাঁদ জয় করলেও দুর্গম দক্ষিণ মেরু আজও অধরা বিশ্বের। সেই অসম্ভব কাজকেই সম্ভব করতে এগিয়ে চলেছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদে সফটল্যান্ডিং করার পর মহাকাশের অজস্র ছবি ইসরোকে পাঠাবে রোভার। সেই সঙ্গে জানাবে আজও রহস্যাবৃত মহাকাশের একাধিক প্রশ্নের উত্তর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আবহাওয়া, ভূমিরূপ এমন কি জলের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, তার খবরও পাঠাবে এই মিশন। এখন গোটা ভারত তাকিয়ে আগামী ২৩-২৪ আগস্টের দিকে, যেদিন সফট ল্যান্ডিং করতে চলেছে ভারতবাসীর স্বপ্ন চন্দ্রযান-৩।