নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জন মারা গিয়েছেন। বুধবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্যে রাজ্যবাসীকে অনুরোধও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খাট্টার জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে দু’জন হোমগার্ড এবং চারজন সাধারণ নাগরিক। ‘রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ’ তাই ‘কাউকে রেয়াত করা হবে না’ বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার। রাজ্যজুড়ে আধা সামরিক বাহিনীর ২০টি ফোর্স এবং ৩০ ইউনিট হরিয়ানা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ ইউনিট নুহ’তে, ৩টি পালওয়ালে, দুটি ফরিদাবাদে এবং একটি গুরুগ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার হরিয়ানার নুহ’তে ‘ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা’র আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়েতে মিছিল পৌঁছলে, বাধা দেয় একদল যুবক। মিছিলের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তারা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী মহিলা এবং শিশুরা অশান্তির আঁচ থেকে বাঁচতে স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামানো হয় RAF, আধা সামরিক বাহিনী সহ হরিয়ানা পুলিশের বিশাল বাহিনী। মঙ্গলবার সংঘর্ষের আঁচ ছড়ায় গুরুগ্রামে। এরপর ৪৮ ঘন্টার জন্যে নুহ, ফরিদাবাদ এবং গুরুগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করে হরিয়ানা সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেইসঙ্গে রাজধানী দিল্লিতেও সতর্কতা জারি করে পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে গুরুগ্রামের অ্যাসিস্টেন্ট পুলিশ কমিশনার বরুণ দাহিয়া জানান, এলাকায় প্রতিটি স্কুল, কলেজ এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসে স্বাভাবিকভাবে কাজ হচ্ছে। ট্রাফিক চলাচলেও কোনও রকম বাধা নেই। ইন্টারনেট পরিষেবাও স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ‘কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে ১১২ নম্বরে ফোন করতে পারেন’ বলেই জানিয়েছেন অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দাহিয়া।