নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই অটো টোটোর দাপটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সকালবেলা অফিস টাইম থেকে সন্ধেবেলায় বাজার দোকান পর্যন্ত সারাক্ষণ এই অটো টোটোর দাপটে সাধারণ মানুষের পথচলা দুঃসাধ্য। হুগলি জেলার প্রায় সব শহরে এই একই অবস্থা। গত পাঁচ বছর ধরে রিষড়া পশ্চিমপাড় এলাকায় কয়েকশো অটো এবং টোটো চলছে। মূলত রিষড়া স্টেশন থেকে দিল্লি রোড অবধি বিভিন্ন রুটে এই অটো এবং টোটো চলাচল করে।
রেলপার্ক তিন নম্বর কলোনি দাসপাড়া পঞ্চানন তলা সহ বিভিন্ন জায়গায় এই অটো টোটো যাতায়াত করে। রাজনৈতিক মধ্যস্থতায় এই টোটো এবং অটো চালকরা ঠিক করেন নতুন করে কোন অটো এবং টোটো এই রুটে চলাচল করবে না। কিন্তু গত তিন মাস ধরে বাইরের বেশ কিছু যুবক নতুন করে টোটো কিনে এই রুটে চলাচল শুরু করেছে। ফলে পুরনো টোটো চালকদের সাথে তাদের প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ লেগে রয়েছে। পুরনো টোটো চালক এবং অটোচালকদের যুক্তি এই নতুন টোটো চালকরা শাসকদলের কোনো এক কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ। এই কাউন্সিলারের মদতে প্রায় ২২টি টোটো নতুন করে শহরের রাস্তায় চলাচল শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Reliance Jute: সরকারি উদাসীনতা ও শ্রমিক অসন্তোষ, বন্ধ হওয়ার পথে জুটমিল
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে রিষড়া পশ্চিমপাড় এলাকায় অটো এবং টোটো বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছে। তাদের দাবি নতুন করে এই অটো এবং টোটো চলাচলের ফলে সাধারণ মানুষ বীতশ্রদ্ধ হচ্ছেন। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। নিজেরাও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কিন্তু তবুও নতুন টোটো চালকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়ে তাদের অভিযোগ এই নতুন টোটো চালকদের অন্য কোনও রুটে স্থানান্তরিত করা হোক। নচেৎ তারা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবে।