নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে চোখে চোখ রেখে কথা বলার নীতিই নিয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভারত। তবে তা বলে ভারতকে বন্ধ করতে হয়নি মানবিকতা কিংবা উদারতার পথ। তবে ভারতের এই উদারতাকে কমজোরি কিংবা প্রাপ্য মনে করাটাও যে কোনও দেশের জন্য ভুল, তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এবার নিউ ইন্ডিয়া। বছর খানেক ধরেই ভারতের সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়ার প্রচেষ্টায় রত তুরস্ক। তবে প্রয়োজনের সময় ভিক্ষাপাত্র নিয়ে আসতেও লজ্জা পায় না এই দেশটি। পাক-মদতে ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া কিংবা বিবৃতির পরও তুরস্কের অসময়ে বারে বারে ছুটে গেছে ভারত। তবে এবার তুরস্ককে ইটের জবাব পাটকেলে দিল মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকায় বন্যার ফলে বাধাপ্রাপ্ত চাষ-আবাদ। নষ্ট হয়েছে প্রচুর ফসল। এই অবস্থায় আভ্যন্তরীণ চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বাজারে আপাতত বাসমতী চাল বাদে বাকি সমস্ত চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, তুরস্কের চালের বাজারও নির্ভর করে ভারতের রপ্তানির উপর। এই অবস্থায় বাকি দেশগুলির মতো সমস্যায় পড়েছে এই দেশও। কিন্তু স্বভাব মতো ফের ভিক্ষাপাত্র হাতে ভারতের কাছে চালের অনুরোধ করলেও এবার পত্রপাঠ সেই অনুরোধকে ফেরত পাঠাল ভারত। চাল পাঠানোর আবেদন করে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠায় তুরস্ক। তবে সেই আবেদন খারিজ করতে এবার মাত্র দেড় দিন সময় লাগল ভারতের।
স্মরণীয়, গত বছর গম রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ করার পরও বিপাক্যা পড়ে গিয়েছিল অনেক দেশ। তা সত্ত্বেও সেই সময় মিশর এবং তুরস্ককে গম পাঠায় ভারত। কিন্তু ভারতের পাঠানো গমে রুবেলা নামের ক্ষতিকারক ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে সরকারিভাবে বিবৃতি দেয় তুরস্ক। সেই গম নিতে অস্বীকার করার পর অন্যান্য দেশের কাছেও সেই দেশ আবেদন জানায় ভারতের থেকে গম না নিতে। যদিও ভারত সরকার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর কোনও ভাইরাস পাওয়া যায় নি বলে বিবৃতিও দেয়। তবে এরপরেও তুরস্ককে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক সাহায্য করার পরও ভারতের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব বদলাতে পারেনি দেশটি।