নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে প্রতিদিন। পুরসভা থেকে এই কারণে বিভিন্ন নোটিশও জারি করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি এলাকা পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুরসভা। মূলত বর্ষাকালে জমা জলেই মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটে। ঢাকা দেওয়া নর্দমাগুলি থেকে মশার উপদ্রব বাড়তে থাকে বেশি হারে। ফলে পুরসভা এলাকাগুলি ছাড়াও শহরতলির এলাকা গুলিতেও দ্রুত হারে বাড়ছে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ। জেলা থেকেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার খবর আসছে। মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারির ভেতর থাকার নিদান দিচ্ছেন ডাক্তাররা।
কিন্তু রাতের বেলা মশারির ভেতরে ঘুমালেও দিনের বেলা মশারির ভেতর থাকা সম্ভব হয় না অনেক সময়। ফলে দিনের বেলা বাড়িতে মশা তাড়ানোর ধুপ, গায়ে মাখা ক্রিম, স্প্রে ইত্যাদি নানান উপায়ে মশা তাড়ানো হয়। যদিও বিষাক্ত রাসায়নিক দেওয়া এই সমস্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে অনেক সময় চামড়ায় ব়্যাশ হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের কোন রকম রেপেলেন্ট ক্রিম মাখালে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই রয়েছে কিছু ঘরোয়া উপায় যার মাধ্যমে মশা তাড়ানো যেতে পারে।
কর্পূর: মশার ধুপ সারাদিন না জ্বালানো গেলে ঘরের এক কোনায় কর্পূর রাখা যেতে পারে। কর্পূরের গন্ধে মশা সহজে কাছে আসে না। তাই ঘরে যে জায়গায় বেশিরভাগ সময় কাটান সেই কোনায় কিছুটা কর্পূর করে রেখে দিলে কাজ দেবে।
ইউক্যালিপটাস তেল: মশা তাড়ানোর প্রধান উপাদানের মধ্যে একটি হল ইউক্যালিপটাস তেল। ভেষজ উপায়ে তৈরি এই তেল ঘরে কিছু জায়গায় স্প্রে করে রাখলে সেই গন্ধে মশা আসে না। এমনকি গায়ে মাখার ক্রিমেও এই এসেনশিয়াল অয়েলটি কয়েকফোঁটা মিশিয়ে মাখা যেতে পারে। রেপেলেন্ট ক্রিমের কাজ করবে এই ইউক্যালিপটাস তেল।
নিম পাতা: প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়াতে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। নিম পাতার শুকিয়ে গুড়ো করে তা ধুনোর সঙ্গে মিশিয়ে ধুনো জ্বালালে মশার প্রকোপ কমবে অনেকটাই।