নিউজ ডেস্ক: বর্ষায় জ্বর-সর্দি-কাশির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস। এই চোখ ওঠা রোগটিকে বাংলায় ‘জয় বাংলা’ ও বলা হয়। ভীষণ ছোঁয়াচে এই রোগ প্রতিরোধে বেশ কিছু বিষয় মেনে চললেও হতে পারে জয় বাংলা। তবে তিন চার দিনের মধ্যেই নিজে থেকেই এই রোগ সেরে যায়। চোখের সাদা অংশ বা কর্নিয়াতে রক্ত জমাট বেঁধে চোখ লাল হয়ে থাকে। মূলত বর্ষার শুরুতেই এর প্রকোপ বাড়ে, আবার বর্ষা কেটে গেলে এর প্রকোপ কমে যায়। চোখ জ্বালা করা, লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ থেকে জল কাটলে তখনই চিকিৎসা শুরু করা উচিত। আবার কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার হয়ে পড়ে। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ওষুধ দরকার হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় এই রোগ থেকে সেরে ওঠার পরেও ফের এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন রোগীরা। নিজেদের অজান্তেই এবং অসতর্কতার ফলে ফের আক্রান্ত হচ্ছেন তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। কনজাংটিভাইটিস যেহেতু একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই সেরে ওঠার পরেও কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন। নইলে ফের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- বর্তমানে অনেকেই কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন কিন্তু কনজাংটিভাইটিস হলে যে লেন্সটি আপনি সেই সময় ব্যবহার করতেন বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার একদিন দু’দিন আগেও পড়তেন তা ফেলে দিতে হবে। ওই লেন্স, লেন্সের সলিউশন এবং কেস আবার ব্যবহার করলে ফের সংক্রমণের ঝুঁকি হতে পারে।
- জয় বাংলা হওয়ার সময় যে রুমাল, গামছা, টাওয়াল, বালিশের কভার বা সানগ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছিল তা ভালোভাবে পরিষ্কার করলেও অনেক সময় জীবাণু থেকে যায়। ফলে সেই সমস্ত জিনিস আবার না ব্যবহার করাই ভালো।
- মহিলাদের সাজগোজের সময় অন্যতম বিষয় হচ্ছে চোখকে সাজিয়ে তোলা। এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে কাজল পেন্সিল, আইলাইনার, মাস্কারা ইত্যাদি। কিন্তু চোখ উঠলে সেই সময় ব্যবহার করা এই সমস্ত প্রসাধনী ফেলে দেওয়া উচিত, নইলে ফের সংক্রমণ হতে পারে।