নিউজ ডেস্ক: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার আবেদন করেও প্রত্যাহার করল ইডি। বৃহস্পতিবার মানিক মামলায় এক ঘন্টার মধ্যে ৩৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ইডি। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবি জানায় তারা মানিক ভোটতাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে চায়। সেক্ষাত্রে বিচারক বলেন, তদন্ত শেষ হলে আগে রিপোর্ট জমা দিন। আইনজীবি পাল্টা জানান, তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে আদালতে সেই বিষয়টি জানানো হবে। কিন্তু এর পরেই ঘটে যায় আশ্চর্য ঘটনা। এক ঘণ্টার মধ্যেই মানিক ভট্টচার্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় ইডির আইনজীবি।
আদালত ২৬ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত বদলি দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজের আবেদন করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই মামলা শুনবেন না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত শিক্ষাক্ষেত্রে বদলির ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা যায় উচ্চ আদালতে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এমনকি ইডিকে তিনি বলেন, “ চাইলে এফ আই আর করতে পারে ইডি। একটা বড় সড় দুর্নীতি হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। দালালের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করেছেবন মানিক ভট্টাচার্য। ছক কষেই দুর্নীতি করা হয়েছে”।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর জুলাই মাসের ২৫ ও ২৬ তারিখ প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে সিবিআই। কীভাবে এই দুর্নীতি হয়েছিল সেটাও শুনানিতে উঠে এসেছিল। ২০২১ সালের ৬ জুলাই পর্ষদ এটা তালিকা বের করে। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষকদের নিজেদের জেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে দূরের জেলায় চাকরি গ্রহণ করেন বহু শিক্ষক। ৩০ জুলাই ফের শূন্যপদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায় সবারই নিজের জেলায় শূন্যপদ আছে। মাত্র ২৩ দিনে কী করে তৈরি হল এই শূন্যপদ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পছন্দের জেলায় টাকার বিনিময়ে চাকরি দিতেই এই কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।