নিউজ ডেস্ক: গরমে রোদে পোড়ার হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সুরক্ষার চিন্তা বেড়ে যায়। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে বাদ যায় না কিছুই। সানস্ক্রিন হোক কিংবা মুখ-গলায় ভালো করে স্কার্ফ জড়িয়ে নেওয়া। রোদ থেকে বাঁচতে ব্যবস্থাপনা একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হওয়া চাই। তবে এত কিছুর মাঝে ব্রাত্য থেকে যায় পা। অথচ গরমে প্রভাব মুখের থেকে পায়ের উপর পরেই বেশি। গরমে ঘাম বেশি হয় বলে অনেকেই পা ঢাকা জুতো পরতে চান না। তাই খোলামেলা জুতো পরার ফলে ধুলো ময়লা ছাড়াও পায়ের ত্বকে গাঢ় ট্যান পড়ে যায়। অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে গোড়ালি ফাটতে শুরু করে। এমনকী গোড়ালির ত্বকও মোটা হয়ে যায়। তাই মুখের এবং হাতের পাশাপাশি পায়ের যত্ন নেওয়াও জরুরী। পায়ের যত্ন নিতে আহামরি কোন ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। মাত্র কয়েকটি পদ্ধতিতেই পায়ের যত্ন নিতে পারবেন অনায়াসে।
প্রত্যেকদিন বাড়ি ফিরে প্রথমেই পা ধুয়ে নিন। বাড়ি ফিরে স্নান করাটা সবার আগে জরুরি। যদি স্নান না করা যায় তবে পা ভালো করে সাবান দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিতে হবে। দেহের মধ্যে পা সবচেয়ে বেশি ঘামে, ফলে পায়ের তলায় ঘাম জমে নানান ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
পা ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য বাইরে থেকে ফিরে হালকা গরম জলে দশ মিনিট পা চুবিয়ে বসে থাকা যায়। এতে নখের কোনে জমে থাকা ময়লা ধুলোবালি যেমন পরিষ্কার হয় তেমনি দেহে আরাম পাওয়া যায়। স্ট্রেস কমে অনেকটাই। ওই জলে একটু লেবুর রস এবং বেকিং সোডা মেশালে ট্যান উঠে যায় সহজে।
অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে বা হাইড্রেটেট না থাকলে গোড়ালি ফাটা এবং ত্বক ফাটার মত সমস্যা দেখা যায়। ফলে পায়েতেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার দরকার। রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজার চলতি বেশ কিছু ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলিও উপকার দিতে পারে।
পায়ের যত্নেও স্ক্রাবিং জরুরী। পায়ে গাঢ় হয়ে পড়ে থাকা ট্যান-দাগছোপ তুলতে সাহায্য করে স্ক্রাবিং এবং মৃত কোষ তুলে ফেলে। বাজার চলতি স্ক্রাব তো আছেই বাড়িতে সময় না থাকলে কফি এবং মধু মিশিয়েও লাগিয়ে রাখা যায় এতেও ভালো ফল দেয়।
সব থেকে বেশি জরুরী দিনের বেলা বাইরে গেলে পা ঢাকা জুতো পরা। কারণ এতে সহজে ট্যানও পড়বে না এবং ধুলোবালি থেকেও রক্ষা পাবে পদযুগল।