নিউজ ডেস্ক: নতুন করে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। শনিবার সকালে আততায়ীদের হাতে খুন তিন নিরস্ত্র গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের কোয়াকতা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোয়াকতার কাছে উখা তাম্পাক গ্রামে এদিন ভোররাতে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে সন্দেহভাজন একদল জঙ্গি। ঘুমের মধ্যেই গুলির আঘাতে প্রাণ হারান তিন গ্রামবাসী। মৃতদের মধ্যে দুজন বাবা ও ছেলে ছিলেন। আর একজন ছিলেন তাদের প্রতিবেশী। তারপর ঘরে ঢুকে তলোয়াড় দিয়ে মারাও হয় তাদের। হামলাকারী জঙ্গিরা চূড়াচাঁদপুর এলাকা থেকে এসেছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
উল্লেখ্য, গ্রামটি পার্বত্য এলাকা এবং উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত। গ্রামের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে স্বাভাবিকভাবে গ্রামটিকে নিরাপদ বলেই মনে করা হয়। এখন প্রশ্ন কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এদিনের এই ঘটনা ঘটল? এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত তারাও। ইতিমধ্যেই স্থানীয় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে একটি যৌথ বাহিনী এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে কোন জঙ্গি দল জড়িত? কেনই বা তারা বেছে বেছে এই গ্রামটিতেই হামলা চালাল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে হিংসার ঝাঁঝ আরও বেড়ে গিয়েছে সমগ্র মণিপুরে। বিষ্ণুপুরের তেরাখোঙ্গসাঙ্গবি এলাকায় রাজ্য পুলিশ বাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে অজ্ঞাতপরিচয়ের একদল দুষ্কৃতী। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ৩৫ বছরের এক স্থানীয় মহিলা। মাথায় গুলি লাগে তার। বর্তমানে ইম্ফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
অন্যদিকে, পশ্চিম ইম্ফলের সেনজাম চিরাং এলাকায় পুলিশবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে এলাকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মাথায় গুলি লাগে এক পুলিশকর্মীর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পাশাপাশি, বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেইনায় অবস্থিত ইন্ডিয়া রিসার্ভ ব্যাটেলিয়নের অস্ত্রাগারে লুট চালায় আততায়ীরা। জানা গিয়েছে এএফ রাইফেল, ইনসাস রাইফেলের পাশাপাশি লাইট মেশিন গান, পিস্তল-সহ বহু অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।