নিউজ ডেস্ক: একদিনে জোড়া সুখবর। স্পনসর পাওয়ার দিনে বিদেশি দুই ডিফেন্ডারের সঙ্গে চুক্তি হল লাল-হলুদের। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার জন এলসা। অন্যজন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আন্তনিও পার্দো লুকাস। দ্বিতীয় সুখবর, ইমামি ইস্টবেঙ্গল নতুন স্পনসর পেল। সেই স্পনসর অবশ্য ভারতের অন্যতম নামি অনলাইন গেমিং সংস্থা বেটিরি। খুব শীঘ্রই নতুন স্পনসরকে প্রকাশ্যে আনা হবে।
ডুরান্ড যাত্রার আগে জোড়া সুখবরে ব্যাপক খুশি লাল-শিবির। আইএসএলের জন্য ব্যাপক টিম তৈরি করেছে ইমামি। এ বার ট্রফি খরা কাটবে। অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার জন এলসাকে নিয়ে আগেই থেকে চেষ্টা করছিল ইস্টবেঙ্গল। অস্ট্রেলিয়া লিগে এলসা খেলেন পার্থ গ্লোরি নামে প্রথম সারির ক্লাবে। সেই ক্লাব থেকে রিলিজ পেতে সমস্যা হচ্ছিল। অবশেষে সেই জটিলতা মিটেছে। পের্দো স্পেনে লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিসনে খেলেছেন। ৩৭টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত অবশ্য দু’জনকেই চেয়েছিলেন। পের্দোর খেলা স্পেনে দেখেছেন কালোর্স। খেলা পছন্দ হওয়ার পরে তাঁকে টিমে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছেন।
আরও পড়ুন: Sunil Chhetri: স্ত্রীর পাশে থাকতেই কিংস কাপে খেলবেন না সুনীল
দুই ডিফেন্ডার প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলছেন, ‘রক্ষণে এলসি এবং পারডো দলের সম্পদ। দু’ জন রক্ষণকে নির্ভরতা দেবে বলেই আশা রাখি। দলের সাফল্যের জন্য ডিফেন্স মজবুত রাখা দরকার। আমাদের ডিফেন্স বেশ শক্তিশালী বলেই মনে হয়।’ ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কর্তা সন্দীপ আগরওয়াল দুই বিদেশিকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমাদের হেড কোচের সঙ্গে আলোচনার পরে দুই বিদেশিকে নেওয়া হয়েছে। আমাদের ব্যাকলাইন সংগঠিত করাই আসল উদ্দেশ্য। তাদের যৌথ অভিজ্ঞতা আমাদের দলক শক্তিশালী করবে।” লুকাস বলছেন, “ভারতীয় ফুটবলে আমার জার্নি শুরু হতে চলেছে। ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহাসিক ক্লাবে খেলব এটাই ভেবেই আমি উত্তেজিত। আমাদের সমর্থকরা প্রতিটি ম্যাচে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটায়, আমিও সমর্থকদের ভালবাসা ফিরিয়ে দেব বলেই আশাবাদী। দুর্দান্ত একটা বছর অপেক্ষা করে রয়েছে।”
কলকাতা লিগে ভালো ছন্দে রয়েছে দল, ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরু করতে চলেছে। বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের অভিযান শুরু করবে লাল হলুদ। এবারের প্রাক মরশুমে লাল হলুদকে বেশ চনমনে লেগেছে। প্লেয়ারদের প্রত্যেকেই ফিট দেখিয়েছে। গতবারের অনেক প্লেয়ারকে ছেড়ে এবার নতুন কোচিং স্টাফ ও নতুন প্লেয়ারদের নিয়ে নামার লক্ষ্য রেখেছে। তারই প্রস্তুতি ভালোভাবেই হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে পুরো দলের সঙ্গে সমর্থকদের আলাপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দেখে সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।